করোনার যে অতিসংক্রামক দুটি ধরন পাওয়া গেছে, সেই রূপান্তরের বিরুদ্ধেও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে ফাইজারের টিকা। নতুন একটি গবেষণার বরাতে আরব নিউজ এমন খবর দিয়েছে।
সম্প্রতি ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাইরাসের নতুন দুটি ধরন পাওয়া গেছে, যা বিশ্বজুড়ে মহামারীতে প্রতিনিয়ত প্রাণহানি আর আক্রান্তের খবরের মধ্যে মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ব্রাঞ্চের গবেষকদের সঙ্গে কাজ করছে ফাইজারের টিম।
মূলত করোনার রূপান্তরে কেউ আক্রান্ত হলে ফাইজারের টিকায় তা কাজ করে কিনা; পরীক্ষা করতে এ গবেষণা চালানো হয়েছে।
টিকা নেয়া ২০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেছে ফাইজার ও তার জার্মানির অংশীদার বায়োএনটেক। যদিও এই গবেষণা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা তা পর্যালোচনা করে দেখেননি।
ফাইজারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ফিলিপ ডরমিটজার বলেন, এটা খুবই আশ্বাসজনক খবর। বিশেষ করে ভাইরাসের নতুন ধরন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে। মানুষ এই রূপান্তর নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলেও টিকার ক্ষেত্রে তা সমস্যা বলে মনে হয়নি।
একজন থেকে যখন আরেকজনের মাঝে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, তখন তাতে ছোট করে হলেও একটা পরিবর্তন ঘটে। বছরখানেক আগে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তা কীভাবে সংক্রমণ ঘটছে, তা অনুসন্ধান করতে এ হালকা পরিবর্তনকে ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা।