বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা…
Author: administrant
ইস্ট লন্ডন মসজিদের এক্সটেনশন কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজন ১.৯ মিলিয়ন পাউণ্ড : ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন
আগামী রমজানের আগে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ফেইজ-৩ এক্সটেনশন প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে বিশেষ ফান্ডরেইজিংয়েরউদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। “আওয়ার মস্ক, আওয়ার হোম” শীর্ষক এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করাহয়েছে।এ উপলক্ষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর ২০২৩) বিকেলে ইস্ট লন্ডন মসজিদের বারাকা খান ভিজিটর গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনআয়োজন করা হয় । এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইস্ট লন্ডন মস্ক ট্রাস্টের সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম হীরা । বক্তব্য রাখেনমসজিদের চেয়ারম্যান ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ । শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ । প্রজেক্টারেরমাধ্যমে ফেইজ-৩ এক্সটেনশন প্রজেক্টের আপডেট দেন মসজিদের হেড অব অ্যাসেটস এন্ড অপারেশনস আসাদ জামান ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ আব্দুল কাইয়ুম, বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের ট্রেজারার সৈয়দতুহেল আহমদ ও ট্রাস্টি মোঃ আব্দুল মালিক। লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইস্ট লন্ডন মসজিদের নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়েছে । কমিটিতেনতুনত্ব এসেছে । মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । তাছাড়া মুসলিমকাউন্সিল অব ব্রিটেনের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি হারুন খান ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন । এছাড়া জুনায়েদআহমদকে মসজিদের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি আগে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে কাজকরেছেন ।জনাব সিরাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলের নির্মাণ কাজ চলছে । অর্থাৎ মসজিদের মূল হলের বাম দিকেনতুন একটি হল নির্মাণের কাজ চলছে । হলটির সোজা উপরে একই আকারের আরো একটি হল হবে । নিচের হলটি পুরুষেরজন্য । উপরের হলটি মহিলাদের নামাজের জন্য । হল দুটোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫০০ । অর্থাৎ, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিটিহলে ২৫০ জন করে অতিরিক্ত আরো ৫০০ নারী-পুরুষ নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন । তখন পুরো গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রায় ১২০০পুরুষ এবং উপরে ৫৫০ জন মহিলা একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়তে পারবেন ।তিনি বলেন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী রামাদ্বানের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে হলটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। যদি বিল্ডার নিয়মিত কাজ করেন তাহলে আগামী রামাদ্বানে আমরা নতুন হলে তারাবিহের নামাজ পড়তে পারবোইনশাআল্লাহ ।এই হলের কাজ শেষ হলে বর্তমান মুল হলের সাথে ঘেষা ওয়ালটি তুলে দেওয়া হবে । তাছাড়া মূল ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনেরওয়ালটিও তুলে নেওয়া হবে । তখন মসজিদের মেহরাব স্থানান্তরিত হয়ে মধ্যখানে চলে যাবে এবং পুরো হলটি অনেক প্রশস্ত হয়েযাবে । কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া একই সাথে কাধে কাধে রেখে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে । সবকিছুতেইজিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । বিশেষ করে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে অনেকগুণ । আমরা যখন ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলনির্মাণের কাজ শুরু করি তখন বিল্ডার যে ব্যয় বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন এখন তা অনেকগুন বেড়ে গেছে । ফেইজ ৩ প্রেয়ারহল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২.১ মিলিয়ন পাউন্ড । বর্তমানে আমাদের হাতে আছে ১৯০ হাজার পাউন্ড । এখনও আমাদের ১.৯মিলিয়ন পাউণ্ড প্রয়োজন । তাই আমরা বিশেষ ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছি । ডিসেম্বর, জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারিমাসজুড়ে ‘প্রি-রামাদ্বান ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন’ চলবে । এই সময়ে মসজিদে বাকেট কালেকশনসহ সোশ্যাল মিডিয়ার সবগুলোসুবিধা ব্যবহার করে ফান্ডরেইজ করা হবে।ফান্ডরেইজিং পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মুসল্লা অ্যাপিল । নিচতলা ও উপরতলায় পুরুষ ও মহিলা হলে সবমিলিয়ে ১৭০০ মুসল্লারজায়গা রয়েছে । প্রতিটি মুসল্লার জন্য ৩০০ পাউন্ড করে দান করার সুযোগ থাকবে ।মেহরাব আপিলের জন্য জনপ্রতি ৩৬৫ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে । ১৭০০ মানুষ মেহরাবের জন্য দান করতে পারবেন ।মেহরাবে ইন্টোরিয়র ডেকোরেশন, লাইটিং, সাউন্ড-সিস্টেম ও এয়ার কন্ডিশন বাবদ এই অর্থ ব্যয় করা হবে । তাছাড়া মারিয়ামসেন্টার ডনার ওয়ালে ১০০০ পাউণ্ড দান করে যেকেউ তাঁর নিজের অথবা প্রিয়জনের নাম লিপিবদ্ধ করে নিতে পারবেন। আমরা আশাবাদী কমিউনিটির মানুষ বিগত দিন যেভাবে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছেন এবারও তাঁরাসাহায্যের হাত প্রসারিত করবেন এবং রমজানের আগেই ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।মসজিদের চেয়ারম্যান ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ বলেন, আমরা মনে করি আপাতত এটাই হবে মসজিদের এক্সটেশনের শেষ কাজ। কারণ মসজিদ সম্প্রসারণের আর কোনো জায়গা নেই। মসজিদের অনেক করজে হাসানা আছে । আমরা আশাকরি ক্রমান্বয়েমসজিদের করজে হাসানা পরিশোধ করে একসময় মসজিদটি একটি স্বয়ংসম্পন্ন ভিত্তির ওপর দাড় হবে এবং মসজিদ স্বনির্ভরহয়ে যাবে। ফান্ডরেইজিং ছাড়া মসজিদের আয় থেকেই মসজিদ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদেরকে নির্মাণাধীন ফেইজ-৩ প্রেয়ার হল ঘুরে দেখানো হয়।
বন্ধু দিপুর মৃত্যুতে মন ভালো নেই শাকিব খানের
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের এখন মন ভালো নেই। প্রিয় বন্ধু দিপু কে হারিয়ে শোকাহত তিনি। ২ ডিসেম্বর হৃদ্রোগেআক্রান্ত হয়ে মারা যান শাকিব খানের বন্ধু দিপু চৌধুরী। বন্ধুর হঠাৎ মৃত্যুর সংবাদ শুরুতে বিশ্বাস করতে পারেননি শাকিব খান।খবর পেয়ে দ্রুত চলে যান হাসপাতালের মর্গে। প্রিয় বন্ধুকে হারানোর শোক তিন দিনেও কাটিয়ে উঠতে যে পারেননি, তা শাকিবখানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে করা পোস্টে বোঝা যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ‘আমার বন্ধু দিপু…’ শিরোনামেএকটি লেখা লিখেছেন। দিপু চৌধুরীর পুরো নাম সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরী। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আওয়ামী লীগেরসভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে। শাকিব খানের সঙ্গে দিপু চৌধুরীর বন্ধুত্বদীর্ঘ সময়ের। বন্ধু দিপুকে নিয়ে ফেসবুকে শাকিব খান লেখেন, ‘আমার বন্ধু দিপু…কোন শব্দে তোকে নিয়ে লিখব, কোন ভাষায়তোর পরিবারকে সান্ত্বনা জানাব, ভেবে পাচ্ছি না। একদিন আমাদের সবাইকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে, এটাই নির্মম সত্য।কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি চলে যাবি, সেটা আমার চিন্তার ঊর্ধ্বে ছিল।’
শ্রম শূন্যতা পূরণ করবে যুক্তরাজ্যের কর্মীরা – রবার্ট জেনরিক
টেমসসুরমা রিপোর্ট: যুক্তরাজ্যের অভিবাসন মন্ত্রী বলেছেন, নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার কারণে হওয়া শ্রম বাজারে শূন্যতা“ব্রিটিশ শ্রমিকরা পূরণ করবে”। রবার্ট জেনরিক বলেন, সরকারের পাঁচ-দফা পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন “কমপক্ষে ৩০০,০০০” কমিয়ে দেবে, যাবর্তমান রেকর্ড উচ্চতে। শূন্যস্থান পূরণের জন্য ব্যবসাগুলি আর বিদেশী শ্রমের উপর নির্ভর করতে পারে না, তিনি বলেছিলেন। তবে কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) বলেছে যে পরিকল্পনাগুলি যুক্তরাজ্যের শ্রম ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যর্থহয়েছে। বিবিসির সাথে কথা বলার সময় মিঃ জেনরিক বলেন, সরকার “বিমূর্ত কারণে” নেট মাইগ্রেশন কমাতে চায় না। “আমরা এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যা আরও উত্পাদনশীল যেখানে নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের এবং তাদেরদক্ষতা এবং বেতনে বিনিয়োগ করে,” তিনি বলেছিলেন। অভিবাসন পরিকল্পনাগুলি ছিল শরতের বিবৃতিতে নির্ধারিত একটি বৃহত্তর মিশনের অংশ, যা দেখেছিল যে জাতীয় জীবনমজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত অবস্থা বা অক্ষমতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলির সম্মুখীনব্যক্তিদের জন্য ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সুবিধার ওভারহল দেখা গেছে। টার্ম বেকারত্ব, মিঃ জেনরিক বলেন। “বড় ব্যবসার জন্য আমার বার্তা হল এটা ঠিক নয় যে তারা প্রথম উদাহরণে বিদেশী শ্রমের সহজ লিভারের জন্য পৌঁছায় – আমরা চাই তারা ব্রিটিশ কর্মীদের উন্নতি করুক এবং বিনিয়োগ করুক,” তিনি বলেছিলেন। “আমরা এমন একটি দেশ দেখতে চাই যেখানে ব্যবসা দেশীয় কর্মশক্তিতে বিনিয়োগ করে,” মিঃ জেনরিক বলেন। মিঃ জেনরিক বলেছেন যে সরকার এখনও তার ২০১৯ ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিতে ২২৫,০০০ নেট আইনী অভিবাসন হ্রাস করারপ্রতিশ্রুতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে আরও ব্যবস্থার প্রয়োজন হতে পারে। গত মাসে সরকারী পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশন রেকর্ড ৭৪৫,০০০-এ বেড়ে যাওয়ার পরেমাইগ্রেশন পরিকল্পনাটি আসে। কনজারভেটিভ এমপিরা তখন থেকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং তার সরকারের উপর নেট মাইগ্রেশন কমিয়ে আনতে চাপ সৃষ্টিকরেছেন, যা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করা এবং ত্যাগকারীদের মধ্যে পার্থক্য। মিঃ সুনাক এর আগে বলতে অস্বীকার করেছেন যে তিনি ২০১৯ ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিতে লেগে থাকতে চান। মে মাসে তিনিবলেছিলেন যে সংখ্যাগুলি “খুব বেশি” কিন্তু তিনি “এতে একটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা রাখতে চান না”। পরবর্তী ধাপসোমবার, হোম সেক্রেটারি জেমস ক্লিভারলি দক্ষ বিদেশী কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বেতন ৩৮,৭০০ পাউন্ড করারপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন যে আগামী বসন্ত থেকে, স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের যুক্তরাজ্যে পারিবারিক ডিপেন্ডেন্টদের আনানিষিদ্ধ করা হবে। মিঃ জেনরিকের মতে, যুক্তরাজ্যে বিদেশী কর্মীরা তাদের পরিবার ছাড়াই “স্বল্পমেয়াদী নিয়োগের” জন্য গণ্য পরিষেবাগুলিতেঅতিরিক্ত চাপ এড়াতে বিবেচিত হবে।…
হাথুরু কান্ড: তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নাসুম
ডেক্স রিপোর্ট: বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম আহমেদ। ক্রিকেটারদের কাছে স্বল্পভাষী আর সহজ সরল হিসেবে পরিচিত…
মিয়ানমারের মতো দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিবেন না: নুর
টেমসসুরমাডেক্স: তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিরোধী দলসমূহেরডাকা ৯ম দফা অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় পুরানা পল্টন আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে পল্টন মোড়, নাইটিংগেলমোড় ,বিএনপি অফিস ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিনমোল্লাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছ। শুধু বিন ইয়ামিন মোল্লা নয় বিরোধী দলের সাবেক এমপি, মন্ত্রী, সিনিয়রঅনেক নেতাকে কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘন্টা লকাপে রেখে মানসিক কষ্ট দিচ্ছে যেন তারা বের হয়ে রাজনীতিনা করে। কারাগারে বন্দীদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। এটা স্পষ্টতই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। স্বাভাবিক ধারণক্ষমতার চেয়ে ৩ গুন বন্দীকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে নুরুল হক বলেন, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকবে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।নাশকতার মামলায় জড়াতে পুলিশ ভয়-ভীতি দেখিয়ে গ্রেফতার বাণিজ্য করছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ভিত্তিহীন মিথ্যামামলায় অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। ২৮ অক্টোবরের পর রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় ১৮টি গুপ্ত হামলা ও ৪ টি গুপ্ত হত্যা ঘটেছে।
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ, ১০ই ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে মানববন্ধন
টেমসসুরমাডেক্স: সরকার পতনের একদফা দাবিতে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে বিএনপি। আগামী বুধবার ভোর ৬টা…
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
টেমসসুরমাডেক্স: যুবদল নেতা মো: আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিকরেছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নতচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টারকায়সার কামাল, বদরুদ্দোজা বাদল, আবদুল জব্বার ভূইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মনিরুজ্জামান আসাদ, মো: মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। আদেশের বিষয় ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার দিবস সরকারপালন তো করেই না, বরং তারা মানবাধিকারকে হরণ করছে। তার নিষ্ঠুর উদহারণ হলো হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদলেরসহ-সভাপতি মো: আমিনুর রহমান মধুকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। সব থেকে নির্মমহলো তার চিকিৎসা সমাপ্ত না করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই নির্মমতার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।হাইকোর্ট ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছেন। একইসাথে তাকে পর্যাপ্ত ও সম্পূর্ণ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যারা সরকারবিরোধী মতের আছেনতাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতন ও নিগৃহীত করা হচ্ছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন করছে আওয়ামী সরকার
ডেক্স রিপোর্ট: আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। কিন্তু সেই আদালতকে যখন নিপীড়ন তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করারজন্য ব্যবহার করা হয়, তখন একটা দেশের আইনের শাসনে ভরসা করার মতো আর কিছু আসলে থাকে না। বর্তমানে ব্যবহারকরাটা হচ্ছে ব্যাপক, সুদূরপ্রসারী ও সর্বনাশা। ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার কেবল নির্বাচন ব্যবস্থা বা পুলিশ প্রশাসনকে নয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং সম্মানও ক্ষুণ্ন করার পথে নেমেছে। গতকাল ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের একওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, এর খেসারত দিতে হবে। কোনো সমাজে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা যদিক্রমান্বয়ে কমতে থাকে, তখন ওই সমাজের অনেক অনিষ্ট হয়। তখন আস্তে আস্তে সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ‘সাজানো নির্বাচন, বিচার বিভাগ ও আইনের শাসন’ শীর্ষক এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগেরপ্রফেসর ড. আসিফ নজরুল। আলোচক হিসেবে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও হিউম্যানরাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ। সমাপনী বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. রিদওয়ানুল হক। প্রফেসর আসিফ নজরুল বলেন, ৭ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার ডামি প্রার্থী ও অনুগত দলগুলোর নির্বাচন হচ্ছে।এটা আসলে কোনো নির্বাচন নয়। এটা বাকশাল-২ বা একদলীয় একটা নির্বাচন। এই সাজানো নির্বাচনটা করা হচ্ছে আওয়ামীলীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে, সোজাসুজি জেলে ঢুকিয়ে দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে। তিনি বলেন, আজকে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেখানে একটারাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ তো দূরের কথা, স্বাভাবিক যে মানবাধিকার সেটা পর্যন্ত ভোগ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।আমরা এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। বেশি উদ্বিগ্ন এ কারণে যে, এই কাজটা করতে গিয়ে অর্থাৎ বিরোধী দল তথা বিএনপিকেরাজনীতির মাঠ ছাড়া, ঘরছাড়া করা, জেলে ঢুকানো, নির্যাতন, আতঙ্কে রাখার প্রক্রিয়ায় শুধু পুলিশ বা দলের নেতাকর্মীদেরব্যবহার করা হচ্ছে না। এখানে আদালত, ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমকেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগজনক বিষয়। তিনি বলেন, আদালত মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। একটা আদালতকে যখন নিপীড়ন তথা মানবাধিকার লঙ্ঘন করার জন্যব্যবহার করা হয়, তখন একটা দেশের আইনের শাসনে ভরসা করার মতো আর কিছু থাকে না। এবারের ব্যবহার করাটা হচ্ছেব্যাপক, সুদূরপ্রসারী ও সর্বনাশা। ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা বা পুলিশ ব্যবস্থাকে নয়, বিচার বিভাগেরস্বাধীনতা, মর্যাদা এবং সম্মানও ক্ষুণ্ন করার পথে নেমেছে। আফিস নজরুল বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ২০২৪ সালের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে।সাজানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেষ্টা করছে, যেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমি মনে করি এ কাজেসরকারকে বিরত রাখতে ও তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উচ্চ আদালত ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা এ ভূমিকাপ্রত্যাশা করি। আমরা প্রত্যাশা করি মানবাধিকার কমিশন, দেশে থাকা বিভিন্ন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও মানবাধিকারকর্মীরা এব্যাপারে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন, উদ্বেগ জানাবেন এবং যা করার আছে করবেন। একইসঙ্গে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণারপরও যেভাবে গুরুতর ব্যত্যয় চলমান রয়েছে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের উচিত পদত্যাগ করা। তাদের দায়িত্ব পালন করাঅথবা দায়িত্ব পালন করতে পারছে না এটা বলে পদত্যাগ করা। অন্তত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কিছুটা আত্মসম্মানবোধরয়েছে বলে বিশ্বাস করি। উনি যোগ্য মানুষ। উনার কাছে আবেদন করবো আপনার কাছে যদি কোনো রকম আত্মসম্মানবোধথাকে অন্তত আপনি পদত্যাগের কথা বিবেচনা করুন। তিনি বলেন, আইনের শাসন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগ রাষ্ট্রেরসবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে হীন রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমাদেরসবাইকে সোচ্চার হতে হবে। মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজানো নির্বাচনের দু’টি অংশ- একটি হলো নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, আরেকটি হলো ক্ষমতা। কারণ ক্ষমতা না থাকলে সাজানো যায় না। গণতন্ত্র ও ক্ষমতা দুটোই বিবেচনা করলে দেখতে হবে এখনযে গণতন্ত্র সেটি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে কতোটুকু যায়, সেটা বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের সংবিধানের আর্টিকেল৭-এ বলা হয়েছে- ‘সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ’। জনসাধারণের ক্ষমতাটা জনগণের প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হবে।আর্টিকেল ৭২-এ বলা হয়েছে সংবিধান হলো সর্বোচ্চ আইন। এর আরেকটি সংশোধনীতে বলা হয়েছে, যদি এই সংবিধানস্থগিত করা হয় তাহলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা হবে।
বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জন
ডেক্স রিপোর্ট: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে সরকারের পদত্যাগদাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৯টি দল ছাড়াও বাম জোট ও ইসলামী রাজনৈতিক দল রয়েছে। শুক্রবার রাতে বিএনপিরমিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে সেগুলো হলো- “যুগপৎ ৩৯”১. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি“গণতন্ত্র মঞ্চ”২. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জেএসডি)৩. নাগরিক ঐক্য৪. বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি৫. ভাসানী অনুসারী পরিষদ৬. রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন৭. গণসংহতি আন্দোলন “১২ দলীয় জোট”৮. জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর) ৯. বাংলাদেশ এলডিপি(শাহাদাত হোসেন সেলিম)১০. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি – (জাগপা রাশেদ প্রধান) ১১. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১২. বাংলাদেশ লেবার পার্ট ( ফারুক রহমান) ১৩. ইসলামিক ঐক্যজোট১৪. ন্যাপ ভাসানী১৫. ইসলামিক পার্টি ১৬. বাংলাদেশ জাতীয় দল “জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট”১৭. ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)১৮. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা খন্দকার লুৎফর রহমান) ১৯. বিকল্প ধারা বাংলাদেশ২০. গণদল২১. ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)২২. বাংলাদেশ ন্যাপ ২৩. বাংলাদেশ সাম্যবাদী ২৪. ডেমোক্রেটিক লীগ২৫. বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি২৬. বাংলাদেশ মুসলিম লীগ২৭.পিপলস পার্টি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য”২৮. সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি২৯. বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ( এম এল)।৩০. সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি৩১. প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ( PDP) ৩২. গণফোরাম৩৩. পিপলস পার্টি ৩৪. লিভারেল ডেমোক্রেটিক ৩৫. গণ অধিকার পরিষদ৩৬. জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)৩৭. বাংলাদেশ লেবার পার্টি৩৮. আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি৩৯. গণ অধিকার পরিষদ ( ডক্টর রেজা কিবরিয়া ও ফারুক হাসান) ১. ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ“সমমনা ইসলামি দল সমূহ”১. খেলাফত মজলিস২. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম৩. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস৩. বাংলাদেশ মুসলিম লীগ৪. নেজামে ইসলাম পার্টি ১. জাতীয় পার্টি ( আন্দালিব রহমান পার্থ)১. জামায়াতে ইসলামী “বাম গণতান্ত্রিক জোট”১. বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ২. বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ৩. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী), ৪. বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, ৫. গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ৬. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন “ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা”১. বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন২. নয়া গণতান্ত্রিক গণ মোর্চা৩. গণমুক্তি ফোরাম৪. জাতীয় গণতান্ত্রিক “গণমঞ্চ”১. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব)জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও জাতীয় গণফ্রন্ট২. জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল৩. জাতীয় গণফ্রন্ট৪. বাংলাদেশ জাসদ(মোট- ১৪ টি)১. ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ-ন্যাপ১ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ