আগামী রমজানের আগে ইস্ট লন্ডন মসজিদের ফেইজ-৩ এক্সটেনশন প্রজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে বিশেষ ফান্ডরেইজিংয়েরউদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। “আওয়ার মস্ক, আওয়ার হোম” শীর্ষক এই ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করাহয়েছে।এ উপলক্ষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর ২০২৩) বিকেলে ইস্ট লন্ডন মসজিদের বারাকা খান ভিজিটর গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনআয়োজন করা হয় । এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইস্ট লন্ডন মস্ক ট্রাস্টের সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম হীরা । বক্তব্য রাখেনমসজিদের চেয়ারম্যান ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ । শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ । প্রজেক্টারেরমাধ্যমে ফেইজ-৩ এক্সটেনশন প্রজেক্টের আপডেট দেন মসজিদের হেড অব অ্যাসেটস এন্ড অপারেশনস আসাদ জামান ।এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম ও খতিব শায়খ আব্দুল কাইয়ুম, বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের ট্রেজারার সৈয়দতুহেল আহমদ ও ট্রাস্টি মোঃ আব্দুল মালিক। লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম জানান, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইস্ট লন্ডন মসজিদের নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়েছে । কমিটিতেনতুনত্ব এসেছে । মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন । তাছাড়া মুসলিমকাউন্সিল অব ব্রিটেনের সাবেক জেনারেল সেক্রেটারি হারুন খান ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন । এছাড়া জুনায়েদআহমদকে মসজিদের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি আগে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট হিসেবে কাজকরেছেন ।জনাব সিরাজুল ইসলাম বলেন, মসজিদের ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলের নির্মাণ কাজ চলছে । অর্থাৎ মসজিদের মূল হলের বাম দিকেনতুন একটি হল নির্মাণের কাজ চলছে । হলটির সোজা উপরে একই আকারের আরো একটি হল হবে । নিচের হলটি পুরুষেরজন্য । উপরের হলটি মহিলাদের নামাজের জন্য । হল দুটোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫০০ । অর্থাৎ, নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে প্রতিটিহলে ২৫০ জন করে অতিরিক্ত আরো ৫০০ নারী-পুরুষ নামাজ পড়ার সুযোগ পাবেন । তখন পুরো গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রায় ১২০০পুরুষ এবং উপরে ৫৫০ জন মহিলা একসঙ্গে জামাতে নামাজ পড়তে পারবেন ।তিনি বলেন আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগামী রামাদ্বানের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে হলটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। যদি বিল্ডার নিয়মিত কাজ করেন তাহলে আগামী রামাদ্বানে আমরা নতুন হলে তারাবিহের নামাজ পড়তে পারবোইনশাআল্লাহ ।এই হলের কাজ শেষ হলে বর্তমান মুল হলের সাথে ঘেষা ওয়ালটি তুলে দেওয়া হবে । তাছাড়া মূল ইস্ট লন্ডন মসজিদের সামনেরওয়ালটিও তুলে নেওয়া হবে । তখন মসজিদের মেহরাব স্থানান্তরিত হয়ে মধ্যখানে চলে যাবে এবং পুরো হলটি অনেক প্রশস্ত হয়েযাবে । কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়া একই সাথে কাধে কাধে রেখে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে । সবকিছুতেইজিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । বিশেষ করে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়েছে অনেকগুণ । আমরা যখন ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলনির্মাণের কাজ শুরু করি তখন বিল্ডার যে ব্যয় বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন এখন তা অনেকগুন বেড়ে গেছে । ফেইজ ৩ প্রেয়ারহল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২.১ মিলিয়ন পাউন্ড । বর্তমানে আমাদের হাতে আছে ১৯০ হাজার পাউন্ড । এখনও আমাদের ১.৯মিলিয়ন পাউণ্ড প্রয়োজন । তাই আমরা বিশেষ ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছি । ডিসেম্বর, জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারিমাসজুড়ে ‘প্রি-রামাদ্বান ফান্ডরেইজিং ক্যাম্পেইন’ চলবে । এই সময়ে মসজিদে বাকেট কালেকশনসহ সোশ্যাল মিডিয়ার সবগুলোসুবিধা ব্যবহার করে ফান্ডরেইজ করা হবে।ফান্ডরেইজিং পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মুসল্লা অ্যাপিল । নিচতলা ও উপরতলায় পুরুষ ও মহিলা হলে সবমিলিয়ে ১৭০০ মুসল্লারজায়গা রয়েছে । প্রতিটি মুসল্লার জন্য ৩০০ পাউন্ড করে দান করার সুযোগ থাকবে ।মেহরাব আপিলের জন্য জনপ্রতি ৩৬৫ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে । ১৭০০ মানুষ মেহরাবের জন্য দান করতে পারবেন ।মেহরাবে ইন্টোরিয়র ডেকোরেশন, লাইটিং, সাউন্ড-সিস্টেম ও এয়ার কন্ডিশন বাবদ এই অর্থ ব্যয় করা হবে । তাছাড়া মারিয়ামসেন্টার ডনার ওয়ালে ১০০০ পাউণ্ড দান করে যেকেউ তাঁর নিজের অথবা প্রিয়জনের নাম লিপিবদ্ধ করে নিতে পারবেন। আমরা আশাবাদী কমিউনিটির মানুষ বিগত দিন যেভাবে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এসেছেন এবারও তাঁরাসাহায্যের হাত প্রসারিত করবেন এবং রমজানের আগেই ফেইজ-৩ প্রেয়ার হলের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।মসজিদের চেয়ারম্যান ডক্টর আব্দুল হাই মুর্শেদ বলেন, আমরা মনে করি আপাতত এটাই হবে মসজিদের এক্সটেশনের শেষ কাজ। কারণ মসজিদ সম্প্রসারণের আর কোনো জায়গা নেই। মসজিদের অনেক করজে হাসানা আছে । আমরা আশাকরি ক্রমান্বয়েমসজিদের করজে হাসানা পরিশোধ করে একসময় মসজিদটি একটি স্বয়ংসম্পন্ন ভিত্তির ওপর দাড় হবে এবং মসজিদ স্বনির্ভরহয়ে যাবে। ফান্ডরেইজিং ছাড়া মসজিদের আয় থেকেই মসজিদ পরিচালনা করা সম্ভব হবে।উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদেরকে নির্মাণাধীন ফেইজ-৩ প্রেয়ার হল ঘুরে দেখানো হয়।
Tag: ইউকেকমিউনিটিনিউজ
শ্রম শূন্যতা পূরণ করবে যুক্তরাজ্যের কর্মীরা – রবার্ট জেনরিক
টেমসসুরমা রিপোর্ট: যুক্তরাজ্যের অভিবাসন মন্ত্রী বলেছেন, নতুন অভিবাসন পরিকল্পনার কারণে হওয়া শ্রম বাজারে শূন্যতা“ব্রিটিশ শ্রমিকরা পূরণ করবে”। রবার্ট জেনরিক বলেন, সরকারের পাঁচ-দফা পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন “কমপক্ষে ৩০০,০০০” কমিয়ে দেবে, যাবর্তমান রেকর্ড উচ্চতে। শূন্যস্থান পূরণের জন্য ব্যবসাগুলি আর বিদেশী শ্রমের উপর নির্ভর করতে পারে না, তিনি বলেছিলেন। তবে কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই) বলেছে যে পরিকল্পনাগুলি যুক্তরাজ্যের শ্রম ঘাটতি মোকাবেলায় ব্যর্থহয়েছে। বিবিসির সাথে কথা বলার সময় মিঃ জেনরিক বলেন, সরকার “বিমূর্ত কারণে” নেট মাইগ্রেশন কমাতে চায় না। “আমরা এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই যা আরও উত্পাদনশীল যেখানে নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের এবং তাদেরদক্ষতা এবং বেতনে বিনিয়োগ করে,” তিনি বলেছিলেন। অভিবাসন পরিকল্পনাগুলি ছিল শরতের বিবৃতিতে নির্ধারিত একটি বৃহত্তর মিশনের অংশ, যা দেখেছিল যে জাতীয় জীবনমজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত অবস্থা বা অক্ষমতাযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বা দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলির সম্মুখীনব্যক্তিদের জন্য ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ডের সুবিধার ওভারহল দেখা গেছে। টার্ম বেকারত্ব, মিঃ জেনরিক বলেন। “বড় ব্যবসার জন্য আমার বার্তা হল এটা ঠিক নয় যে তারা প্রথম উদাহরণে বিদেশী শ্রমের সহজ লিভারের জন্য পৌঁছায় – আমরা চাই তারা ব্রিটিশ কর্মীদের উন্নতি করুক এবং বিনিয়োগ করুক,” তিনি বলেছিলেন। “আমরা এমন একটি দেশ দেখতে চাই যেখানে ব্যবসা দেশীয় কর্মশক্তিতে বিনিয়োগ করে,” মিঃ জেনরিক বলেন। মিঃ জেনরিক বলেছেন যে সরকার এখনও তার ২০১৯ ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিতে ২২৫,০০০ নেট আইনী অভিবাসন হ্রাস করারপ্রতিশ্রুতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে আরও ব্যবস্থার প্রয়োজন হতে পারে। গত মাসে সরকারী পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশন রেকর্ড ৭৪৫,০০০-এ বেড়ে যাওয়ার পরেমাইগ্রেশন পরিকল্পনাটি আসে। কনজারভেটিভ এমপিরা তখন থেকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং তার সরকারের উপর নেট মাইগ্রেশন কমিয়ে আনতে চাপ সৃষ্টিকরেছেন, যা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করা এবং ত্যাগকারীদের মধ্যে পার্থক্য। মিঃ সুনাক এর আগে বলতে অস্বীকার করেছেন যে তিনি ২০১৯ ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিতে লেগে থাকতে চান। মে মাসে তিনিবলেছিলেন যে সংখ্যাগুলি “খুব বেশি” কিন্তু তিনি “এতে একটি সুনির্দিষ্ট সংখ্যা রাখতে চান না”। পরবর্তী ধাপসোমবার, হোম সেক্রেটারি জেমস ক্লিভারলি দক্ষ বিদেশী কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বেতন ৩৮,৭০০ পাউন্ড করারপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও ঘোষণা করেছেন যে আগামী বসন্ত থেকে, স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা কর্মীদের যুক্তরাজ্যে পারিবারিক ডিপেন্ডেন্টদের আনানিষিদ্ধ করা হবে। মিঃ জেনরিকের মতে, যুক্তরাজ্যে বিদেশী কর্মীরা তাদের পরিবার ছাড়াই “স্বল্পমেয়াদী নিয়োগের” জন্য গণ্য পরিষেবাগুলিতেঅতিরিক্ত চাপ এড়াতে বিবেচিত হবে।…
হাথুরু কান্ড: তদন্ত কমিটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নাসুম
ডেক্স রিপোর্ট: বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিনার নাসুম আহমেদ। ক্রিকেটারদের কাছে স্বল্পভাষী আর সহজ সরল হিসেবে পরিচিত…
বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জন
ডেক্স রিপোর্ট: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল। এসব দলের মধ্যে সরকারের পদত্যাগদাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৯টি দল ছাড়াও বাম জোট ও ইসলামী রাজনৈতিক দল রয়েছে। শুক্রবার রাতে বিএনপিরমিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যেসব দল নির্বাচন বর্জন করেছে সেগুলো হলো- “যুগপৎ ৩৯”১. বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি“গণতন্ত্র মঞ্চ”২. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল ( জেএসডি)৩. নাগরিক ঐক্য৪. বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি৫. ভাসানী অনুসারী পরিষদ৬. রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন৭. গণসংহতি আন্দোলন “১২ দলীয় জোট”৮. জাতীয় পার্টি ( কাজী জাফর) ৯. বাংলাদেশ এলডিপি(শাহাদাত হোসেন সেলিম)১০. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি – (জাগপা রাশেদ প্রধান) ১১. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ১২. বাংলাদেশ লেবার পার্ট ( ফারুক রহমান) ১৩. ইসলামিক ঐক্যজোট১৪. ন্যাপ ভাসানী১৫. ইসলামিক পার্টি ১৬. বাংলাদেশ জাতীয় দল “জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট”১৭. ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)১৮. জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা খন্দকার লুৎফর রহমান) ১৯. বিকল্প ধারা বাংলাদেশ২০. গণদল২১. ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)২২. বাংলাদেশ ন্যাপ ২৩. বাংলাদেশ সাম্যবাদী ২৪. ডেমোক্রেটিক লীগ২৫. বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি২৬. বাংলাদেশ মুসলিম লীগ২৭.পিপলস পার্টি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য”২৮. সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি২৯. বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ( এম এল)।৩০. সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি৩১. প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ( PDP) ৩২. গণফোরাম৩৩. পিপলস পার্টি ৩৪. লিভারেল ডেমোক্রেটিক ৩৫. গণ অধিকার পরিষদ৩৬. জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)৩৭. বাংলাদেশ লেবার পার্টি৩৮. আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি৩৯. গণ অধিকার পরিষদ ( ডক্টর রেজা কিবরিয়া ও ফারুক হাসান) ১. ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ“সমমনা ইসলামি দল সমূহ”১. খেলাফত মজলিস২. জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম৩. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস৩. বাংলাদেশ মুসলিম লীগ৪. নেজামে ইসলাম পার্টি ১. জাতীয় পার্টি ( আন্দালিব রহমান পার্থ)১. জামায়াতে ইসলামী “বাম গণতান্ত্রিক জোট”১. বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ২. বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ৩. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী), ৪. বাংলাদেশের কমিউনিস্ট লীগ, ৫. গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, ৬. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন “ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা”১. বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন২. নয়া গণতান্ত্রিক গণ মোর্চা৩. গণমুক্তি ফোরাম৪. জাতীয় গণতান্ত্রিক “গণমঞ্চ”১. বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মাহবুব)জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ও জাতীয় গণফ্রন্ট২. জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল৩. জাতীয় গণফ্রন্ট৪. বাংলাদেশ জাসদ(মোট- ১৪ টি)১. ন্যাশানাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ-ন্যাপ১ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ
লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সদস্য সাংবাদিক আশরাফ আহমেদ এর মৃত্যুতে ক্লাব নেতৃবৃন্দের শোক
লন্ডন ০১ ডিসেম্বর ২০২৩:লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সদস্য, বার্মিংহামের সিনিয়র সাংবাদিক, চ্যানেল এস’র মিডল্যান্ডব্যুরো প্রধান এইচ এম আশরাফ আহমেদ এর মৃত্যুতে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ক্লাবসভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ ও কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমেদ এক শোকবার্তায়মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন । নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাতকামনার পাশাপাশি তাঁর স্বজনদের ধৈর্য্য ধারণের শক্তি দানের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করেন। উল্লেখ্য,মরহুম আশরাফ আহমেদ ৩০ নভেম্বরর,বৃহস্পতিবার ভোর ৭টা ৫ মিনিটে বার্মিংহামের হার্টল্যান্ড হাসপাতালে তিনিইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে বয়স ছিল ৬৩ বছর।তিনি চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।মৃত্যুকালে স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ওগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস যাবত তিনি পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। মরহুমের গ্রামের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ি । মরহুম আশরাফ আহমেদ যুক্তরাজ্যের বাঙালী কমিউনিটির সকলের কাছে একজন স্বজ্জ্বন মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত ছিলেন। তিনি আমৃত্যু স্মল হীথের ডিক্সন রোডস্থ শাহপরান জামে মসজিদ কমিটিরসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে পরিবারে পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে।
গুম-খুন-কারা নির্যাতিত বিএনপি নেতাদের স্বজনদের আহাজারি
বাঁচার অধিকার না থাকলে সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন ডেক্স রিপোর্ট: দুই শিশু নাতনী বর্ষা ও নূরীকে নিয়ে দাদা এসেছেন তাদের কারা বন্দি মায়ের মুক্তির দাবী চাইতে। বাবা বিএনপিনেতা আব্দুল হামিদ ভূইয়াকে না পেয়ে মা পুতুলকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। একইভাবে কারাবন্দি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাআবুল কালামের ছয় বছরের ছেলে সিয়ামও মায়ের সাথে এসেছে এই স্বজনদের এই প্রতিবাদ সমাবেশে। শিশু সিয়াম কান্নাজড়িতকণ্ঠে তার বাবার মুক্তির দাবি জানান। সিয়ামের মতো দুই শতাধিক বিএনপির কারা নির্যাতিত, খুন-গুমের শিকার নেতাকর্মীদেরস্বজনরা আসেন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে। এসময় পরিবারের সদস্যরা ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপিনেতাদের গ্রেপ্তার, নির্যাতনের হৃদয়বিদারক বর্ণনা দেন। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গুম-খুন ও কারা নির্যাতিত নেতাদের স্বজনদের নিয়ে বিএনপি এই মানববন্ধনেরআয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন কারাবন্দি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী আফরোজাআব্বাস। মানববন্ধন শেষে নির্যাতিত পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রেসক্লাবে সামনেইবাধা দেয় পুলিশ। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের নেতৃত্ব নির্যাতিত পরিবারের চারজনকে যাওয়ারঅনুমতি দেয় পুলিশ। এসময় সেলিমা রহমান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা আইনজীবীদের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি পাঠিয়েদিবো। এদিকে মানববন্ধনে তিন ছেলের গ্রেপ্তারের বর্ণনা দিয়ে পিতা আব্দুল হাই বলেন, আমার তিন সন্তানকে কারান্তরীণ করা হয়েছে। এক ছেলেকে ১০ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। বড় ছেলেকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পুত্রবধূকে তিনদিনেররিমান্ডে পাঠিয়েছে পুলিশ। অথচ, আমার ছেলের বউ রাজনীতিতে জড়িত নন। তিনি বলেন, বিএনপি করা কি আমাদেরঅপরাধ? আমরা শুধু সুষ্ঠু ভোটের অধিকার চেয়েছি। ২০১৩ সালের গুমের শিকার ছাত্রদল নেতা কাওসারের স্ত্রী মিনু আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার স্বামীকে যখন গুম করা হয়তখন আমার সন্তানের বয়স তিন। ১০ বছর ধরে সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি। আমি আমার স্বামীকে ফেরত চাই। ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা লিয়ন হক ও রাজিব হাসান এর বোন বলেন, আমার দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, একভাইকে পুলিশ ১ মাস গুম করে রাখার পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। আমার পরিবার সদস্যদের গ্রেপ্তার-গুম-খুন করে সরকার তছনছকরে দিয়েছে। তিনি বলেন, এক বছর আগে আমার ভগ্নিপতিকে লক্ষীপুরে র্যাব গুলি করে মেরে ফেলেছে, তিনি বিএনপি করতেন, পরে আমরা২০ লাখ টাকা ঘুষ দিলে র্যাব আমাদেরকে মৃত লাশটা দেয়-তারা প্রথমে লাশ পর্যন্ত দিতে চায়নি। শেখ হাসিনাকে বলবো ; যদিআমার এবং আমার পরিবারের বাঁচার অধিকার না থাকে তাহলে আমাদের সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন, একজন একজনকরে কষ্ট দিয়ে মারবেন না। আমরা বিএনপির রাজনীতি করে অপরাধ করেছি-আমরা পুরো পরিবার এখন মরতে চাই। ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা শেখ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী বলেন, রাত দুইটার দিকে দরজা ভেঙ্গে আমার স্বামীকেগ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আমার বৃদ্ধ স্বামী পুলিশকে কত আকুতি মিনতি করলো যে, বয়স্ক অসুস্থ নির্দোষ লোকটা না নিয়ে যেতে- কিন্তু পুলিশ বাসায় ভাঙচুর করে নির্দয়ভাবে তাকে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রদলের নেতা আমান উল্লাহ আমানের বড় ভাইয়ের মেয়ে বলেন, আমার চাচাকে না পেয়ে পুলিশ আমার বাবাকে নিয়েনির্যাতন করেছে। রিমান্ডে নিয়েছে। তারপর আমার চাচাকে গ্রেফতার করে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, অনেকদিন রিমান্ডেনেয়া হয়। তাদের কি অপরাধ। তাদের অপরাধ তারা তাদের ভোটের অধিকার ফেরত চেয়েছিল। এটাই তাদের অপরাধ। জেলেখানায় মারা যাওয়া বিএনপি নেতার আবুল বাসার এর স্ত্রী বলেন, আমি আমার স্বামী হারানোর বিচার চাই, আমারসন্তানকে এতিম করেছে, পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে-যার ফলে আমার স্বামীর মৃত্যুহয়। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন এর স্ত্রী বলেন, আমার কোথায় যাব! আমার স্বামীর মামলার বাদীপুলিশ, মামলা করলোও পুলিশ, সাক্ষীও দিল পুলিশ – এটা কেমন বিচার! আদালতে বিচারকের সামনে এমন অবিচারেরপ্রতিবাদ করলে বিচারক বলে ‘এখানে আইনের কথা বলবেন না।” বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান এর স্ত্রী রহিমা শাহজাহান মায়া বলেন, আমার স্বামীকে চার বছরের জন্য জেলদিয়েছে, তার কোন দোষ নাই, আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে-আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুক। কারাবন্দি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মেয়ে ব্যারিস্টার তাবাসসুম বলেন, আমার বাবাগুরুতর অসুস্থ, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত! তাকে প্রতিমাসে কেমো থেরাপি দিতে হয়। অথচ তাকে মুক্তি না দিয়ে জেলে ভরেরেখেছেন -আমার বাবার মুক্তি চাই। গ্রেপ্তারকৃত যুবদল নেতা রানার মা বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। আমি ছেলের মুক্তি চাই। আমার ছেলের মুক্তি দেন।…
ড্রিম ট্যুরিজম লন্ডন শাখার উদ্বোধন
টেমসসুরমাডেক্স: লন্ডন থেকে ইউরোপ ভ্রমণের অভাবনীয় সম্ভাবনা নিয়ে শুভ উদ্বোধন হলো ড্রিম ট্যুরিজম লন্ডন শাখার। গত…
বিসিএ নির্বাচন নিয়ে গুরুতর অভিযোগ : জমা হয়নি প্রার্থীদের মনোনয়ন ফি
টেমসসুরমাডেক্স: ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের (বিসিএ) নির্বাচন নিয়ে উঠা বিভিন্ন অভিযোগের রেশ এখনো কাটেনি।এরমধ্যেই উঠলোআরো গুরুতর অভিযোগ। কথিত ওই নির্বাচনের দেড় মাস পার হয়ে গেলেও প্রার্থীদের মনোনয়ন ফি বিসিএ’র একাউন্টে জমাহয়নি। তাই প্রশ্ন উঠেছে- প্রার্থীরা কি আদৌ মনোনয়ন ফি জমা দিয়েছিলেন? দিয়ে থাকলে সেই অর্থ কোথায়? মনোনয়নেরযথযাথ প্রক্রিয়া ছাড়া কীভাবে সংশ্লিষ্টদের প্রার্থীতা বৈধতা পেল? নির্বাচন কমিশন কিসের ভিত্তিতে প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করলেন? গত ২৭ নভেম্বর লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রশ্ন তোলেন বিসিএ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী‘ভিশন প্যানেল’। এই প্যানেল থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সাইদুর রহমান বিপুল, সেক্রেটারি জেনারেল পদপ্রার্থী হেলাল মালিকএবং চীফ ট্রেজারার পদপ্রার্থী সাইফুল আলমের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিসিএ’র একতরফা ওই কথিতনির্বাচনের মনোনয়ন ফরম ও ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো ৫ অক্টোবর ২০২৩। নির্বাচন হয়েছে ১৫ অক্টেবর। নিয়মঅনুযায়ী নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের কাছ থেকে উপযুক্ত ফি-সহ মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার কথা। ফি ছাড়া মনোনয়নপত্র জমানেয়ার নিয়ম বা সুযোগ কোনোটি নেই। প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত মনোনয়ন ফি বাবদ প্রাপ্ত সমূদয় অর্থ ট্রাস্টি হিসেবেপ্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে থাকার কথা। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন ওই অর্থ বিসিএ নেতৃবৃন্দকেবুঝিয়ে দেবেন। আর নেতৃবৃন্দ দ্রুততম সময়ে সেই অর্থ বিসিএ’র ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখবেন। এটাই স্বাভাবিক এবং বৈধনিয়ম। চূড়ান্ত কথা হচ্ছে- উপযুক্ত ফি ছাড়া মনোনয়নপত্র জমা নেয়ার সুযোগ নেই। মনোনয়ন ফি না দিয়ে নির্বাচনে প্রার্থীহিসেবে গণ্য হওয়ারও সুযোগ নেই। কিন্তু ওই নির্বাচনের পর প্রায় ৬ সপ্তাহ সময় পার হয়ে গেলেও প্রার্থীদের মনোনয়ন ফি-এরকোনো হদিস নেই। এতে বলা হয়, বিদায়ী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট টিপু রহমান কথিত নির্বাচনের একমাত্র অংশগ্রহণকারী ‘সাফরন প্যানেল’ থেকে চীপ ট্রেজারার প্রার্থী ছিলেন। তিনি গণমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, তাদের প্যানেল থেকে ৬৯ হাজার পাউন্ড মনোনয়ন ফিবাবদ জমা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিসিএ’র বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনারমাহমুদ হাসান এমবিই। তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- “নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে কেবল একটিপক্ষকে যেনতেনভাবে বিজয়ী ঘোষণাই কি তাদের কাজ ছিলো? তাঁরা কি বিসিএ-কে মগের মুল্লুক পেয়েছেন? বিসিএ’র সম্মানিতসদস্যদের চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্যই কি তাঁদের কাছে নেই?” এর আগে গত ১৯ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিএ নির্বাচন নিয়ে নানা অন্যায় ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদসম্মেলন করেছিলো ‘ভিশন প্যানেল’। একের পর এক অন্যায়, স্বেচ্ছাচারিতা এবং পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের মাধ্যমে বিদায়ীপ্রেসিডেন্ট এম মুনিম ভিশন প্যানলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন তারা। তারা অভিযো্গকরেন- গত ১৫ অক্টোবর বিসিএ’র বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিমের নেতৃত্বে বিসিএ’র যে এজিএম ও নির্বাচন করা হয়েছে।যেখানে সংগঠনের সংবিধানের কোনো তোয়াক্কা করা হয়নি। এজিএম-এর কোরাম পূর্ণ হয়নি। ভোট দেননি আমাদের প্রানপ্রিয়সংগঠন বিসিএ’র কোনো সদস্য। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এবং গায়ের জোরে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ সদস্যদের ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কোনো আয়-ব্যায়ের কোনো হিসাব দেয়া হয়নি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম জোরপূর্বক চীপ ট্রেজারের দায়িত্ব কেড়ে নেন। তিনি মেম্বারশিফ ফি এবং মনোনয়ন ফি-এরহিসাব দেয়ার কথা। কিন্তু সেটি না করে তিনি অন্যায়ভাবে নিজের পছন্দের লোকদের দায়িত্ব দিয়ে সরে যেতে চাইছেন। তারা অভিযোগ করেন, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিমের পছন্দের ঘোষিত অবৈধ কমিটি ইতিমধ্যে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভকমিটি (এনইসি) গঠন করেছে জানিয়ে তারা বলেন, অবৈধ কমিটি অনেককে এনইসি’তে যুক্ত করেছে যারা এনইসিতে যুক্তহওয়ার সাংবিধানিক যোগ্যতা পূরণ করেননি। বলেন, “অবৈধ কমিটির ডাকা এনইসি সভায় বিসিএ’র একাউন্ট থেকে এম এমুনিম ৫ হাজার পাউন্ড, অলি খান ৫ হাজার পাউন্ড ও মিঠু চৌধুরী ১ হাজার পাউন্ডের চেক তাদের নিজ নামে নিয়ে গেছেন।সম্প্রতি এই চেকগুলো বিসিএ’র একাউন্ট থেকে ক্লিয়ার হয়ে গেছে। এম এ মুনিম- এর আগেও নিজ নামে বিসিএ থেকে চেক নিয়েগেছেন। এসব অর্থের হিসাব জানার আইনগত অধিকার রয়েছে প্রতিটি সদস্যের।” লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “একটি চক্র ক্যাটারার্সদের অভিভাবক সংগঠন বিসিএ-কে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। একের পর একঅনির্বাচিত নেতৃত্ব চাপিয়ে দেয়া হয়েছে বিসিএ-তে। তাঁরা বিসিএ-কে নিজেদের আত্মপরিচয়ের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।কেউ কেউ আদায় করে নিয়েছেন বড় বড় খেতাব। কিন্তু এই সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনে সাধারণ সদস্যরা নিজেদের ভোটটিওদিতে পারেন না। এই চক্রের বৈষম্যমূলক আচরণ ও অন্যায়ের শিকার হয়ে আমাদের কমিউনিটির সম্মানিত অনেকে বিসিএছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এবারের নির্বাচনকে ঘিরে আমাদেরও একই ফাঁদে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমরা বিসিএ ছেড়ে যাবো না।বিসিএ আমাদের সংগঠন। সাধারণ সদস্যদের সংগঠন। এই সংগঠনের বৈধ নেতৃত্ব এবং সাংবিধানিক পরিচালনার জন্যআমরা লড়াই করে যাবো।” অবিলম্বে কথিথ ওই এজিএম ও নির্বাচন বাতিল চাওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। একই সঙ্গে অনির্বাচিত অবৈধ কমিটিকে বিসিএপরিচালনার নেতৃত্ব থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়। বিসিএ’র নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত জানিয়ে তাঁরা বলেন,“নির্বাচনকে ঘিরে যেসব তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে- আমরা চাইলেই আইনের আশ্রয় নিতে পারি। কিন্তু এতে আমাদের সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অতীতে এমন নজির রয়েছে। তাইআমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধানের পক্ষে। কিন্তু দ্রুত এর সমাধান না হলে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয়সংগঠনের কল্যাণ এবং সাধারণ সদস্যদের অধিকার সুরক্ষায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। সেক্ষেত্রে বিসিএ এবংআমাদের সকল ক্ষয়-ক্ষতির দায়ভার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিমকে নিতে হবে। আশা করছি সংশ্লিষ্টদের শুভবুদ্ধির উদয়হবে।”
লন্ডনে বাংলাদেশ সেন্টার নির্বাচন-২০২৩ সম্পন্ন: রেড এলায়েন্স বিজয়ী
টেমসসুরমাডেক্স: মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে বাংলাদেশ সেন্টারের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে রেড এলায়েন্স। বাংলাদেশ সেন্টারকাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট কমিটির মোট ৩৫টি পদের মধ্যে ১৮ টিতে জিতেছে রেড এলায়েন্সের প্রার্থীরা। আর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিনএলায়েন্সের প্রার্থীরা জিতেছে ১৭টি পদে। রেড এলায়েন্সের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টারের বিগত কমিটির সাধারণসম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। আর গ্রিন এলায়েন্সের নেতৃত্বে ছিলেন বিগত কমিটির সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান। পূর্ব লন্ডনের ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে গত রোববার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সেন্টারের এজিএম ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এজিএমে সভাপতিত্ব করেন সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান মুহিব। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ারহোসেন। এ সময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার হযরত আলী খান ও মিনস্টার কনসুলেট দেওয়ান মাহমুদুলহক উপস্থিত ছিলেন। কুরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করা হয়। কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ নাজিমউদ্দিন। সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ট্রেজারারের প্রতিবেদনপেশ করেন বিদায়ী চীফ ট্রেজারার মামুন রশীদ। সাধারণ সম্পাদক ও ট্রেজারারের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেনসেন্টারের প্রধান উপদেষ্টা নবাব উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান কাজী ওবিই, শহিদুর রহমান, আব্দুলআহাদ। সভায় সর্বসম্মতিতে সাধারণ সম্পাদক ও ট্রেজারারের প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়।এটি ছিল সেন্টারের ইতিহাসে প্রথম কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে কমিউনিটিতে বেশ উৎসাহ ওকৌতুহল বিরাজ করে। অনেকেই এই নির্বাচনের আমেজ নিতে ছুটে যান ইম্প্রেশন ইভেন্ট ভেন্যুতে। সেখানে মধ্যরাত পর্যন্ত ছিলবহু মানুষের সমাগম। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আজিজ চৌধুরী। অপর দুই কমিশনার ছিলেনকাউন্সিলার শেরওয়ান চৌধুরী ও কাউন্সিলার আব্দাল উল্লাহ। নির্বাচন শুরুর পূর্বে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্তবাংলাদেশের হাইকমিশনার ও বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারম্যান সাইদা মুনা তাসনীম।
গণভবনে এমপি পদ বণ্টনের হাট বসেছে গণভবনে:রিজভী
টেমসসুরমাডেক্স: প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবাদী রাজনীতিককে নির্বাচনে দাঁড় করানোর জন্য গণভবনে এমপি পদ বণ্টনের হাট বসিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন…