আস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন ইমরান খান

পাকিস্তান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের নির্বাচনে একটি আসনে পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন। দলের কর্মকর্তারা বুধবার রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার ৯৬ আসনবিশিষ্ট সিনেটের ৪৮টি আসনে নির্বাচন হয়। এতে প্রাদেশিক পরিষদ ও জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষের সদস্যরা ভোট দেন। নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) আত্মপ্রকাশ করে। তবে ইসলামাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে দলের প্রার্থী ও অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ হেরে যান।

ওই আসনে জয়ী হন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী ইউসুফ রাজা গিলানি। ভোটের ফলাফল ছিল ১৬৯-১৬৪। এই পরাজয় ইমরান খানের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। এখন ধারণা করা হচ্ছে, গোপন ব্যালটের এই নির্বাচনে ইমরানের পিটিআই বা তার মিত্রদের অনেকে তাদের প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে গিলানিকে জয়ী করেছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর পিটিআই নেতা ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিরোধী দল অনৈতিকতার মাধ্যমে ভোট কিনেছে।

‘ইমরান খান আর তার দল অভাবনীয় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী হাউসে আস্থঅ ভোটের মুখোমুখি হবেন। আর এতেই পরিষ্কার হবে কার অবস্থান কী। যারা ইমরানের পক্ষে তারাও দৃশ্যমান হবে আবার যারা তার বিপক্ষে বিরোধিতার অধিকার তাদের রয়েছে’।

অবশ্য এই পরাজয় সত্ত্বেও সার্বিকভাবে পিটিআই এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সাফল পেয়েছে। সিনেটে তাদের আসন ১৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬। তবে সিনেটে এখনো বিরোধী দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অব্যাহত রয়েছে। সিনেটে পিপিপির আসন হতে যাচ্ছে ২০, মুসলিম লিগ (এন)-এর ১৮। অন্যান্য মিত্র নিয়ে বিরোধীদের আসন হচ্ছে ৫৩।

error: