ব্রেক্সিটের পর ইইউ নাগরিকরাই শুধু সমস্যা বা আইনি জটিলতায় পারেননি তার চেয়েও মহা সমস্যায় রয়েছেন বৃটিশ নাগরিকরা।হাজার হাজার বৃটিশ নাগরিক ইউরোপ ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। সেইখানে বিয়ে করেছেন সেই দেশের নাগরিককে। কিন্তু ব্রেক্সিটের পর পরেছেন মহা বিপদে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের বিয়ে করে স্বামী বা স্ত্রীকে বৃটেনে আনার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে এক নতুন আইনি জটিলতা। ব্রেক্সিটের পূর্বে ইইউ নাগরিকরা অবাধে যাতায়াতের সুযোগ ছিলো। ব্রেক্সিটের পর সেই অবাধে চলাচলের ক্ষেত্রে বাঁধার সৃস্টি হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ব্রেক্সিট কার্যকর হলে সেই অবাধে যাতায়াত এবং কাজের সুযোগ ও স্খায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ থাকছে না। অন্যান্য সুযোগ থেকেও বন্চিত হচ্ছে। সেই সাথে বিয়ে করা স্বামী বা স্ত্রীর বৃটেনে বৃটিশদের তৈরি হয়েছে জটিলতা।
ব্রেক্লিটের ফলে বৃটিশ নাগরিকদের ই ইউ থেকে বিয়ে করা স্বামী বা স্ত্রীকে আগের সহজ নিয়মে আনতে পারছেন না। তবে সেটেল্টমেন্টের জন্য আগামী বছরের ২০২২ সালের ২৯ মার্চ পর্যন্ত সময় সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বৃটিশ নাগরিকরা তাদের ইইউ এর স্বামী বা স্ত্রীকে সেটেল্টমেন্ট এর আবেদন করতে পারবেন।
এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে তাদের বিয়ে করা স্বামী বা স্ত্রী অর্থ্যাৎ স্পাউজকে বৃটেনে আনতে নিজের পূর্ন কাজ দেখিয়ে অর্থাৎ ১৮.৬০০ পাউন্ড বাৎসরিক আয় দেখাতে হবে।
সন্তান থাকলে বাৎসরিক আয় আরো বেশী দেখাতে হবে। সহজ নিয়মে আর আনতে পারবেন না।তবে তিন মাসের জন্য বেড়াতে আসতে পারবেন কিন্তু স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন না। ব্রেক্সিটের পর শুধু ইইউ নাগরিকরা বিপদে নয়। বিপদে পরছেন বৃটিশ নাগরিকরা।