কমলাপুর রেলস্টেশন ভাঙার সিদ্ধান্ত

মাল্টিমোডাল হাব ও মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ এগিয়ে নিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ভেঙে আরো উত্তরে নতুন করে নির্মাণে সম্মতি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। কমলাপুর স্টেশনের বর্তমান অবস্থা ঠিক রেখেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন পরামর্শকরা। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক সভায় স্টেশন ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘কমলাপুর স্টেশন বিল্ডিংয়ের আগে এমআরটি লাইন-৬ এর সিজর ক্রসিংয়ের স্থান সংকুলান করার জন্য এমআরটি-৬ (ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) লাইনের প্ল্যানে স্টেশন বিল্ডিং উত্তর দিকে স্থানান্তর করা হবে এবং এ বিষয়ে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও ডিএমটিসিএল (ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড) সম্মত হয়েছে। কমলাপুর স্টেশনটি ঢাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী একটি স্থাপনা। এটি ১৯৬০-এর দশকের আধুনিক স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যেও অন্যতম। কমলাপুর স্টেশনটি স্থানান্তর করতে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ একটি নতুন পরিকল্পনায় একমতে পৌঁছায়।  রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্টেশনটি বর্তমান অবস্থান থেকে ১৩০ মিটার উত্তরে সরিয়ে নিতে হবে।
কমলাপুর স্টেশনটি ১৯৬৮ সালের ২৭শে জুলাই উদ্বোধন করা হয়। বিস্তীর্ণ ধানখেত থেকে জায়গাটিকে রূপান্তর করা হয় এশিয়ার অন্যতম সুন্দর ও আধুনিক রেলওয়ে স্টেশনে।সরকারিভাবে ঢাকা রেলস্টেশন হিসেবে পরিচিত কমলাপুর রেলস্টেশনটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও বৃহত্তম রেলস্টেশন। এর স্থপতি ড্যানিয়েল ডানহ্যাম ও রবার্ট বুই। এর আগে ঢাকার রেলস্টেশন ছিল ফুলবাড়িয়ায়। ঢাকা শহর সম্প্রসারিত হওয়ায় ওই লাইনে ট্রেন চলতে গিয়ে বেশ কয়েকটি সড়ক ক্রসিংয়ে সমস্যা তৈরি হয়। তখন জনবসতির বাইরে কোলাহলমুক্ত স্থানে স্টেশন স্থাপনের পরিকল্পনা  নেয়া হয়।

error: