বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন ( বিসিএ) করোনা মহামারী সময়ে মারাকত্ন বিপর্যস্ত হসপিটালিটি সেক্টরের বিবদমান সমস্যা নিরসনে এক ভার্চয়াল আলোচনার আয়োজন করে।
১৬ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ২টায় ভার্চুয়াল মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এর বিরোধীদলীয় নেতা স্যার কিয়ার স্টিমার কিউসি, এমপি ও সিবিআই এর প্রেসিডেন্ট লর্ড কারান বিলিমারী সিবিই।
বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরীর সঞ্চালনায় বিসিএ’র বিভিন্ন রিজিয়নের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএ’র প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম ও বিসিএ’র চীফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল। ইন্ড্রাষ্টির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার এমবিই। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিসিএর সাবেক প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব।
ভার্চয়াল আলোচনায় বক্তারা – হসপিটালিটি খাতের টেক্স রিলিফ, নুন্যতম ভ্যাট এর সময়সীমা বৃদ্ধি, আন ডকুমেন্টেড কর্মীদের বৈধকরণ, করোনা সময়ে প্রবর্তিত ঋণ প্রদান ও পরিশোধে সহজ পদ্ধতি ও সময় বর্ধিত করণের দাবী জানানো হয়। এছাড়াও করোনা পেনডামিক পরে রেষ্টুরেন্ট খাতকে সচল করতে –‘ইট আউট টু হেলপ আউট’ স্কিম চালুর প্রতিও গুরুত্ব আলোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এর বিরোধীদলীয় নেতা স্যার কিয়ার স্টিমার বলেছেন – করোনা পেনডামিক ব্রিটেনের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনীতি স্মরণকালের মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনের কারণে হসপিটালিটি সেক্টর চরম বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। সরকারকে এই সময়ে তাদের সাপোর্ট করা খুবই জরুরী।
তিনি পেনডামিক সময়ে রেস্টুরেস্টগুলোর বিজনেস রেইট রিলিফ , ভিএটি রিডাকশন , হসপিটালিটি খাতের জন্য বরাদ্ধকৃত ঋণ গ্রহন ও পরিশোধ প্রক্রিয়াটি সহজ, স্মার্ট ও দীর্ঘমেয়াদী করা এবং পেনডামিক পরবর্তি সময়ে ফার্লো স্কিম পুনরায় চালু করার জোর দাবী জানান।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আমি যখন বাইরে যাই এবং দেখি রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন থেকে । তখন মনে হয় কমিউনিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ অচল হয়ে আছে।
স্যার কিয়ার স্টিমার নিজেকে ফ্রেন্ডস অব বিসিএ উল্লেখ করে বলেন- বাংলাদেশী কারী শিল্প শুধু অর্থনৈতিকভাবে ব্রিটেনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে না। এটা এখন ব্রিটেনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলের করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ নিশ্চিত করা উচিত। এবং অচিরেই করোনা মুক্ত হয়ে কমিউনিটির অথনৈতিক প্রাণ ‘হসপিটালিটি সেক্টর’কে উজ্জ্বীবিত করতে সকলকে একযুগে কাজ করতে হবে।
ভার্চয়াল মিটিং এ অংশ নেন সিবিআই এর প্রেসিডেন্ট লর্ড কারান বিলিমারী সিবিই। তিনি করোনা পেনডামিকে হসপিটালিটি খাত এর বিপর্যয় থেকে উঠে আসার লড়াইয়ে সকলকে মানষিক মনোবল নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে বলেন- ব্রিটেনের জনগণ রেষ্টুরেন্টে যেতে উন্মোখ হয়ে আছে। আমার বিশ্বাস- করোনাকালীন সংকট যতো বড় হোক না কেন- তা সকলের সমন্ধিত প্রচেষ্টায় আমরা মোকাবেলা করতে পারবো।
লর্ড বিলিমারী বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ধ্বসে পড়া অর্থনীতিকে তুলে আনতে কমিউনিটিবান্ধব ব্যবসা- কারী শিল্পকে সহযোগিতা করা জরুরী।
এই দুর্যোগ সময়ে রেষ্টুরেন্টগুলোর টেক্স মওকুফ করে তাদের সহায়তা করুন। কারী শিল্পের চিহ্নিত সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করলে এই ইন্ড্রাস্টি আবার ঘুরে দাড়াবে। যা দেশের অর্থনীতির মূল প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কমিউনিটিও সমৃদ্ধ হবে।
বিখ্যাত মোটিভেশনাল স্পিকার লর্ড বিলিমারী করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভাবে প্রচার ও অনুপ্রেরণার জায়গায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন- করোনা মুক্ত না হলে আমরা কেউই এই বিপর্যয় থেকে বের হতে পারবোনা। এথেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের নেয়া প্রদক্ষেপ – ভ্যাকসিন প্রয়োগ সকলেই স্বাস্থ্যসেবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টগুলোর সকল স্টাফ ও ইন্ড্রাষ্ট্রির সংশ্লিষ্ট সকল কর্মীদের ভ্যাগসিন নেবার প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশনেন বিসিএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে জামাল উদ্দিন মকদ্দস,মুজাহিদ আলী,ওলি খান, আজাদ মালিক, এম এ গণি, সৈয়দ হাসান,টিপু রহমান. ভাইস প্রেসিডেন্ট মানিক মিয়া, ফিরুজল হক, আব্দুল সুলেমান জেপি, গোলাম রাব্বানী সুহেল, মেহেরুল ইসলাম, এম এম ফাইজুল হক, বিসিএ’র অর্র্গানাইজিং সেক্রেটারী সাইফুল আলম, মেম্বারশীপ সেক্রেটারী ইয়ামীন দিদার, প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, কালচারাল সেক্রেটারী নাসির উদ্দিন, ডেপুটি সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল মালিক ও মুজিবুর রহমান ঝুনু, মিডল্যাড রিজয়নের সেক্রেটারী শেলু মিয়া, ওয়েলস রিজনের প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ কয়সর, কেন্ট রিজয়নের প্রেসিডেন্ট এম কে জামান জুয়েল, জালালাবাদ এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান মুহিব, ক্যাটারার্স নাজিম উদ্দিন, নাজাম উদ্দিন নজরুল, আনা মিয়া, জাহিদ খুসনু আলী, ফায়সাল চৌধুরী, আশ মিয়া, আব্দুল করিম বাবুল, জাকির চৌধুরী,ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী, ওয়াহিদুর রহমান বুলু, আবু সুহেল তানজিম, কাউন্সিলার যথাক্রমে পারভেজ আহমেদ, আব্দাল উল্লাহ, আব্দুল হাই, সাংবাদিক আকরামুল হক (এনটিভি) , জাকির হোসেন ( টিভি ওয়ান), আনোয়ারুল ইসলাম অভি ( ৫২বাংলা টিভি), প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।