উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে রাজধানী কার্ডিফ শহরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর রোববার লন্ডন সময় ১টায় এই সভার আয়োজন করা হয়।
এতে ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্রনেতা আলহাজ্ব লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা কাউন্সিলার আমিনুর রহমান কাবিদের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্রনেতা এম এ মালিক। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সোয়ানসী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মনা, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, প্রাক্তন ছাত্রনেতা আলমগীর আলম, ওয়েলস যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ বি রুনেল, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কাদির বাদল, ওয়েলস আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর আলম, শেখ সুমন তরফদার ,শাহেনশাহ্ কামার সুহার্ত, আব্দুস সালাম, শহীদুল ইসলাম, শাহ্ মুমিন আহমেদ, সৈয়দ সীপার করিম, শামীম চৌধুরী, আব্দুর রহমান, এম এ সবুর, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার শাওন প্রমুখ।
সভায় ছাত্রলীগকে ঘিরে বর্তমান সরকারের হঠকারীও স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের তীব্র ক্ষোভ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ৯০ এর গণআন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসে আজ অবধি সংগঠিত সকল গৌরবময় অধ্যায়ের অপরাজেয় সাক্ষী। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন এবং ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব গাঁথা অর্জন রয়েছে। শুধু তাই নয় স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সৃষ্ট দেশ-বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লড়াই সংগ্রাম করেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধিকার আন্দোলন হয়েছে এবং ছাত্রলীগের নেতৃত্বেই বারবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের আবেগ ও ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ ঠিকানা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আইন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ও প্রবাসী বাঙালিরা মেনে নিবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্রনেতা এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘরে,ঘরে যে সংগঠনটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তা নিষিদ্ধ করা যায় না। বাঙ্গালীর সাহস,ইতিহাস,গৌরব ও ঐতিহ্যের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায় মুছেফেলার চেষ্টা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মীর হৃদয় থেকে ছাত্রলীগের আদর্শকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অন্য স্বার্থ হাসিলের গভীর ষড়যন্ত্র। মনে রাখবেন ছাত্রলীগের ইতিহাস মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস।বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লক্ষ-কোটি নেতাকর্মীর হৃদয় থেকে ছাত্রলীগের আদর্শকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে বলে উল্লেখ করে সাবেক ছাত্রনেতা কাউন্সিলার আমিনুর রহমান কাবিদ বলেন, দেশের প্রতিটি ঐতিহাসিক অধ্যায়ে ছাত্রলীগের অবদান অবিস্মরণীয়। ছাত্রলীগ শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি বাঙালীর সংগ্রাম ও স্বাধীনতার অপরাজেয় প্রতীক।
সভাপতির বক্তব্যে ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন ছাত্রনেতা আলহাজ্ব লিয়াকত আলী বলেন, ছাত্রলীগকে ঘিরে এদেশে ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না, ছাত্রলীগ ছিলো, আছে এবং থাকবে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগই প্রজন্মের অনুপ্রেরণা, আমাদের শক্তি, আমাদের সাহস। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অচিরেই তার স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার সোনালি অতীতের মতো আবার ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়বে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি