রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনে সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের বোলিং তোপে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। মিরাজ ২১ রানে ৪টি ৪৪ রানে সাকিব নেন তিন উইকেট। মাত্র ৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। সাদমান ৯ রানে ও জাকির ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ৪৪৮ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। মুশফিকুর রহীমের ১৯১ রানের উপর ভর করে ৫৬৫ রান করে বাংলাদেশ।
এদিন রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।
এরপরই শরীফুল ইসলামের বলে বাবরের কঠিন ক্যাচ ফেলেন লিটন কুমার দাস। জীবন পেলেও বাবর টিকতে পারেননি। ২২ রান করে নাহিদ রানার দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে যান। পরের ওভারেই সাকিব আল হাসানের বলে সৌদ শাকিলকে (০) স্টাম্পড করেন লিটন দাস। এরপর ৩৩তম ওভারে সাকিবের বলেই সাদমানের তালুবন্দি হন ৩৭ রান করা ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। ১০৪ রানে নেই ৫ উইকেট।
মেহেদি মিরাজের করা পরের ওভারেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন আগা সালমান। ৬ উইকেটে ১০৮ রান তুলে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে (২) এলবিডাব্লিউ করে দ্বিতীয় শিকার ধরেন মিরাজ। এরপর মঞ্চে আবারও সাকিব। তার ঘূর্ণিতে মুশফিকুর রহীমের তালুবন্দি নাসিম শাহ (৩)। নবম উইকেটে খুররম শেহজাদকে নিয়ে জুটি গড়েন রিজওয়ান। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান এই উইকেটকিপার ব্যাটার ৭০ বলে ফিফটি পূরণ করেন। ১১৮ রানে পড়েছিল পাকিস্তানের অষ্টম উইকেট। শাহজাদকে সঙ্গী করে লড়ে যাচ্ছেন রিজওয়ান। নিজে অপরাজিত ৪৮ রানে, পাকিস্তানের রান হয়ে গেছে ১৩৯। পাকিস্তান এগিয়ে ২২ রানে। দুই প্রান্ত থেকে স্পিন চলছিল এতক্ষণ। অধিনায়ক নাজমুল এই জুটি ভাঙতে আক্রমণে এনেছেন পেসার হাসান মাহমুদকে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রিজওয়ান। তাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের পথের কাঁটা সরিয়ে দেন মিরাজ। ৫১ রান করে বোল্ড হন রিজওয়ান। পাকিস্তান হারায় নবম উইকেট। লিড মাত্র ২৫ রানের।
এলবির ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আলীকে ফেরান মিরাজ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৪৬ রানে, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে মাত্র ৩০ রান।