কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি ও মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এরপর তারা মৌন মিছিল বের করেন যা শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমি মনে করি বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ড. মতিউর রহমান বলেন, ‘একটি পাখিকেও একজন মানুষ এভাবে গুলি করে না যেভাবে গুলি করে শিক্ষার্থী আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘পুলিশ যেভাবে গুলি করেছে তাতে দেখতে হবে সরকারের নির্দেশ ছিল কি না, যাকে পাও গুলি কর। যদি এটা না হয় তাহলে দেখতে হবে পুলিশ কেন অতি উৎসাহী হয়ে গুলি করল। আমরা এর বিচার চাই। তিনি শিক্ষকদের মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার আহ্বান জানান। তাহলে জাতির মেরুদণ্ড সোজা হবে।’
গতকাল কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ।
এক শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, সম্ভাবনাময়ী উদীয়মান এমন একজন তরুণের নিহত হওয়ার ঘটনা খুবই মর্মান্তিক এবং বেদনাদায়ক। এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যুতে তার পরিবারের যে অপূরণীয় ক্ষতি হলো তা আর কোনোদিন পূরণ সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তার পরিবারের পাশে থাকব।
সূত্র: ডেইলি স্টার