রক্ত ঝরিয়ে ট্রাম্পের নতি স্বীকার

যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটে ডেমোক্র্যাটদের জয় হলেও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতে কারচুপির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেন। ফেইসবুক-টুইটারসহ নানা মাধ্যমেই তিনি দাবি করতে থাকেন জয় তার দলেরই হয়েছে। ট্রাম্পের এমন বক্তব্য ও আচরণে সংশয় দেখা দেয় শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়েও। এসব কর্মকাণ্ডের নানা সমালোচনার মধ্যেও ট্রাম্প থামেননি। ক্ষমতা হস্তান্তর ভন্ডুল করতে নানা ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সেসব চেষ্টার চূড়ান্ত রূপ পায় গত বুধবার। ওইদিন ট্রাম্প সমাবেশ করেন ওয়াশিংটনে। সেখান থেকে তার সমর্থকরা নজিরবিহীন হামলা চালায় ক্যাপিটল হিলে (পার্লামেন্টে)। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বীকৃতি দিতে ক্যাপিটল হিলে তখন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন বসেছিল। ওই ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত চারজন, কারফিউ জারি করা হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটনে। কংগ্রেসের অধিবেশন সাময়িক স্থগিতও হয়। পরে কংগ্রেসের সদস্যরা স্বীকৃতি দেন বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে। কংগ্রেসের স্বীকৃতির পর ট্রাম্পও এক বিবৃতিতে জানুয়ারির ২০ তারিখ নিয়ম অনুযায়ী নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে নিজ দল, নিজ দেশ ও বিশ্ব নেতাদের কাছে ট্রাম্পের এই আচরণ তীব্রভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা একদিকে যেমন ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে হুমকিতে ফেলেছে তেমনি বিশ্বের গণতান্ত্রিক চর্চার ঐতিহ্যকেও খাটো করেছে। ট্রাম্পের সহাকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও বলেছেন, যারা আজ ক্যাপিটলে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছেন, আপনার জয়ী হতে পারেননি।

ফল পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে ক্যাপিটল হিলে হামলা : গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে যখন এই তাণ্ডব চলছে তখনও জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের দুই সিনেট সদস্য নির্বাচনের ভোট গণনা চলছিল। তবে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল সেখানেই হারতে চলেছেন রিপাবলিকান দুই প্রার্থী। যার অর্থ দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটেও নিয়ন্ত্রণ হারাতে চলেছে রিপাবলিকনারা। আর ওই দিনই ট্রাম্প হাজার হাজার সমর্থককে নিয়ে সমাবেশ করেন। সেখানেও তিনি বলেন, জয় আমাদেরই হয়েছে। জয় ছিনিয়ে নিতে দেবেন না। মূলত ট্রাম্প যখন বক্তৃতা করছিলেন তখনই সমর্থকদের একটি দল এগিয়ে যায় ক্যাপিটল হিলের দিকে। এরপর তিনি যখন বক্তৃতা শেষ করে হোয়াইট হাউজে ফেরেন, তখনই চূড়ান্ত হামলা হয় ক্যাপিটল হিলে। কিন্তু তখনও ট্রাম্প ছিলেন নির্লিপ্ত। সহিংসতা ও দাঙ্গা দমনে বিশেষ বাহিনী মোতায়েনে কোনো পদক্ষেপই তিনি নেননি।  শেষ পর্যন্ত ওই সহিংসতায় অন্তত তার চারজন সমর্থক নিহত হয়েছেন। ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে এ ঘটনার পর রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, বুধবার ট্রাম্পের শত শত উগ্র সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়। জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়নে এ সময় কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল। নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজিত হওয়ার ফল পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়। ক্যাপিটল ভবনে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় অভূতপূর্ব বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে একপর্যায়ে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পরে ফের অধিবেশন শুরু হয়।  ক্যাপিটল ভবন ঘিরে হামলা-সংঘাত-সংঘর্ষ চলাকালে ভেতরে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তিনি একজন নারী।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, ওই নারী ক্যাপিটল ভবনের ভেতরেই নিহত হন। ওই নারী মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক এক কর্মকর্তা। সান দিয়াগোর বাসিন্দা ওই নারীর নাম অ্যাশলি ব্যাবিট।

ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশ জানায়, তারা ৫২ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্য ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কারফিউ ভঙ্গের অভিযোগে।

এদিকে দেশটির ইতিহাসে ২০৬ বছরের মধ্যেকার এই হামলার বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচনের আগে-পরে ট্রাম্পের আচরণ ছিল অসংযত। ভোটের ফল তার পক্ষে না এলে তিনি যে তা মানবেন না, তা আগে থেকেই বলে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মানেনওনি। এমনকি জর্জিয়ায় সিনেট নির্বাচনে নিজের দুই প্রার্থী হেরে যাওয়ার পরও তা মানতে চাননি। আর এরপর যা হলো, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কৃষ্ণ অধ্যায়।

খোদ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সসহ রিপাবলিকান পার্টির অনেক বড় নেতাই বললেন সে কথা। ঠিক সেই হামলার সময় উগ্র সমর্থকদের ফিরে যাওয়ার কথা বলেও অত্যন্ত স্বচ্ছ এ নির্বাচন নিয়ে বিষোদগার করছিলেন। আর এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে বুধবার নজিরবিহীন হামলার ঘটনা ঘটল। রয়টার্স বলছে, এই ঘটনার পেছনে রয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই উসকানি। ট্রাম্প তার দাবির সপক্ষে মিছিল নিয়ে গতকাল ওয়াশিংটনে আসতে কয়েকবার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প গত ২০ ডিসেম্বর এক টুইটে লেখেন, ‘পরিসংখ্যানগত দিক থেকে ২০২০-এর নির্বাচনে হার মেনে নেওয়াটা অসম্ভব। ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে বড় বিক্ষোভ। সেখানে আসুন। ঝোড়ো বিক্ষোভ হবে!’

প্রেসিডেন্টের কথামতো ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন তার হাজারো সমর্থক। তারা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ও ফল বাতিলে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্পের ক্যাপিটল ভবন অভিমুখে মিছিল করার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন।

এর আগে হোয়াইট হাউজে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ক্যাপিটলে যেতে চলেছি। সেখানে আমরা আমাদের সাহসী সিনেটর, কংগ্রেসম্যান ও উইমেনদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দ করব।’

ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দৃশ্যত এটি ছিল ট্রাম্পের সর্বশেষ জনসভা। সেখানে উপস্থিত হওয়া সমর্থকদের তিনি ‘লড়াইয়ে’ উৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, ‘আমরা কখনো হাল ছাড়ব না, কখনো পরাজয় মানব না।’ ডেমোক্র্যাটদের বিজয়কে বাজে কথা বলে আখ্যায়িত করে সমর্থকদের উজ্জীবিত করে তোলেন তিনি। তার কণ্ঠে সুর মিলিয়ে সমর্থকরাও ‘বাজে কথা, বাজে কথা, বাজে কথা’ বলে স্লোগান দেন।

বুধবার সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প প্রায় ৫০ মিনিট বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা চলাকালেই কোনো কোনো সমর্থক দলীয় পতাকা উড়িয়ে ক্যাপিটল হিলের দিকে যাত্রা শুরু করেন।

টেলিভিশনের পর্দায় ওভাল অফিস থেকে সমর্থকদের তাণ্ডব দেখেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাদের হামলা ও সহিংসতায় ক্যাপিটল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর টুইট করেন তিনি। তাতে বিক্ষোভকারীদের ‘শান্ত থাকা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন।

ট্রাম্প এই দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছেন বলে সমালোচনা শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার জন্য তাকে আরও কিছু বলার অনুরোধ জানান প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থি ও হোয়াইট হাউজের কয়েকজন উপদেষ্টা। এমনকি জো বাইডেনকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারকৃত অনুষ্ঠানে আসতে হয়। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এই সহিংসতা কোনো বিক্ষোভ না, এটা বিদ্রোহ।’ ট্রাম্পের প্রতি এ অবস্থার অবসান ঘটানোর দাবি জানান তিনি।

শেষমেশ ট্রাম্প টুইটারে তার আগে ধারণ করা একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে বলেন, ‘আমি জানি, আপনারা ব্যথিত হয়েছেন। আমাদের এমন এক নির্বাচন হয়েছে, যেখানে আমাদের কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছিল এক ভূমিধস নির্বাচন। আরেক বার্তায় তিনি তার উন্মত্ত সমর্থকদের ‘মহান দেশপ্রেমী’ আখ্যায়িত করেন।

ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ছেন ঘনিষ্ঠরা : ক্যাপিটল ভবনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ছেন তার ঘনিষ্ঠরা। এ হামলার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবিরে। বিশ্বনেতারাও পিছিয়ে নেই সমালোচনায়। বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, হামলার পর ট্রাম্পের সঙ্গ ছাড়ার তালিকায় একেবারে প্রথমেই আছেন হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস। তিনি বলেছেন, ‘আজ কংগ্রেস হলে যা দেখলাম, তাতে আমি ভীষণভাবে বিরক্ত। আমাদের দেশে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনে যুক্ত থাকতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করি। এ সময় যেসব নীতি নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর জন্য আমি গর্বিত।’

সারাহর আগে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সাবেক প্রেস সচিব স্টেফানি গ্রিসহাম পদত্যাগ করেন। তবে তার পদত্যাগের সঙ্গে ক্যাপিটল ভবনে হামলার কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিশ্চিত না।

পদত্যাগের পর স্টেফানি বলেন, ‘হোয়াইট হাউজে কাজের মাধ্যমে এ দেশসেবার সুযোগ পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করি। মিসেস ট্রাম্প যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় শিশুদের সহযোগিতা করেছেন, এর অংশীজন হতে পেরে আমি গর্বিত। এ প্রশাসনের অনেক কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত থেকেও গর্ব বোধ করি।’

এদিকে এ হামলার পর সরব হয়েছেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির অনেকেই। রিপাবলিকান পার্টির নেব্রাস্কার সিনেটর বেন সাসে বলেছেন, ‘এটা একটা নোংরা দিন। আমরা আমাদের শিশুদের কখনোই বলতে চাইব না যে, যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি অতীত আমাদের আছে। কারণ, এটা সত্য না। আমরা এমনটা নই।’ ওই দিনই জর্জিয়ায় সিনেটের ভোটে হেরে যান রিপাবলিকান প্রার্থী কেলি লয়েফলার। তিনিও সমালোচনায় সরব।

ট্রাম্পকে অপসারণে মন্ত্রিসভায় আলোচনা : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দেশটির অনেক আইনপ্রণেতা সন্ত্রাসবাদে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। এদিকে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানোর সম্ভাব্যতা নিয়ে খোদ তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাই আলোচনা করছেন। দেশটির তিনটি নিউজ চ্যানেলের খবরের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানায়।

মন্ত্রিসভার সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২৫তম সংশোধনীর প্রসঙ্গ উঠে আসে। দেশটির সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট যদি তার ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলে বিবেচিত হন, তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা তাকে অপসারণ করতে পারেন। এ প্রক্রিয়ায় ভাইস প্রেসিডেন্টকে নেতৃত্ব দিতে হয়।

নাম প্রকাশ না করা একাধিক রিপাবলিকান নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএন বলেছে, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ট্রাম্পকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ বলে বর্ণনা করেছেন।

সিবিএস চ্যানেলের সাংবাদিক মার্গারেট ব্রেনান জানিয়েছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের কাছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত অবশ্য আনুষ্ঠানিক কিছু উপস্থাপন করা হয়নি।

একাধিক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাও সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিনিধি পরিষদের বিচারসংক্রান্ত কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। সেই চিঠিতে তারা ট্রাম্পকে সরানোর উদ্যোগ নিতে পেন্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

অনেক আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছেন। তাদের একজন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য ক্যাথলিন রাইস। তিনি বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ক্যাপিটলে অভ্যন্তরীণভাবে সন্ত্রাসী হামলার জন্য প্ররোচিত করেছেন। তিনি আমাদের গণতন্ত্রের জন্য এক আসন্ন হুমকি। তাকে অবিলম্বে পদ থেকে অপসারণ করা দরকার। মন্ত্রিসভার অবশ্যই ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করা দরকার।’

অবশেষে হার স্বীকার ট্রাম্পের : কংগ্রেস বাইডেনের জয়কে স্বীকৃতি দেওয়ার পরপরই  ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারির ২০ তারিখ নিয়ম অনুযায়ী নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কংগ্রেসের স্বীকৃতির পর দেওয়া বিবৃতিতে ট্রাম্প নিয়মানুসারে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি অবসর জীবনযাপন না করে সামনের দিনগুলোতে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ট্রাম্প তার বিবৃতিতে নির্বাচনে কারচুপিসংক্রান্ত তার আগের অভিযোগগুলোও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, যদিও আমি নির্বাচনের ফলের সঙ্গে একমত নই, তবুও ২০ জানুয়ারি নিয়ম অনুযায়ীই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।

তিনি বলেন, আমি সবসময়ই বলে আসছি কেবল বৈধ ভোট গণনা করার এ লড়াই আমরা অব্যাহত রাখব। যদিও এখানেই প্রেসিডেন্টদের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা প্রথম মেয়াদের শেষ হচ্ছে, আদতে এটা হচ্ছে মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন লড়াইয়ের কেবল শুরু।

error: