টেমসসুরমানিউজডেক্স: লন্ডনের পপলার অ্যান্ড লাইম হাউজ আসনের এমপি বাংলাদেশি বংশোভূত আপসানা বেগম তার নিজ দল লেবার পার্টির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সাবেক লেবার পার্টির লিডার জেরেমি করবিন এমপিকে সাথে নিয়ে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে তার মনোনয়ন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে লেবার পার্টি। ট্রিগার ব্যালট প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে আপসানা বেগম আরো বলেন, এই প্রক্রিয়া নিয়ে ৫০টিরও বেশি অভিযোগ দাখিল করা হয়, কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য এসব অভিযোগের কোনো সুরাহা করেনি লন্ডন রিজিওনাল লেবার পার্টি। ত্রুটিপূর্ণ ট্রিগার ব্যালট প্রক্রিয়ার ফলাফল বাতিল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনিয়মের গুরুতর অভিযোগগুলোর সুরাহা না করে তার মনোনয়ন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে লন্ডন বাংলা-প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন এমপি আপসানা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন এমপি। আপসানা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত জুন মাসে ট্রিগার ব্যালট প্রক্রিয়া শেষ হলেও এর আনুষ্ঠানিক কোনো ফলাফল তাকে এখনো জানানো হয়নি। ট্রিগার ব্যালট প্রক্রিয়ার অনিয়ম ও ফলাফলের বিস্তারিত জানতে চেয়ে গত জুলাই মাসে তার আইনজীবী একটি চিঠি পাঠান। কিন্তু লন্ডন রিজিওিনাল লেবার পার্টি এই চিঠিরও কোনো জবাব দেয়নি। আপসানা বেগম বলেন, ২০১৯ সালে তিনি এমপি পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই স্থানীয় লেবার দলের ভিতর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অপতৎরতা শুরু হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচিত হওয়ার পরপর তার বিরুদ্ধে প্রতারণা করে হাউজিং সুবিধা নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ ওঠে। আবার কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল লেবার প্রশাসন সেই অভিযোগে মামলা দায়ের করে। তবে আদালতে এই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন এমপি আপসানা বেগমকে একজন সক্রিয় ও আদর্শ জনপ্রতিনিধি হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, লেবার দলের নীতি হলো সকল ব্যক্তি ও কমিউনিটির প্রতি সমান ও ন্যায়বিচার করা। কিন্ত আপসানা বেগম সেই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আপসানা বেগমের প্রতি সুবিচার করতে লেবার নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জেরেমি করবিন বলেন, যে কোনো সময় আরেকটি সাধারণ নির্বাচন আসন্ন। এ সময়ে লেবার নেতৃত্বের উচিৎ দলকে ঐক্যবদ্ধ করা। আপসানা বেগমের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে তিনি স্থানীয় কমিউনিটির প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ‘ট্রিগার ব্যালট’ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দলের স্থানীয় সদস্যরা ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন পরবর্তী নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে প্রার্থী বাছাই-প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে না-কি বিদ্যমান এমপির প্রতি দলীয় মনোনয়ন অব্যাহত থাকবে।