টেমসসুরমা: প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানী নগর এডুকেশন ট্রাস্টের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন আগামী ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনারদের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানানো হয় আগামী ৩১ অক্টোবর রবিবার বিকাল ৫ থেকে ৭টার মধ্যে ১১২-১১৬ হোয়ায়াইটচ্যাপেল রোড় এর অফিসে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হবে।
মনোনয়নপত্র বাচাই, প্রত্যাহার, প্রার্থীদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৫ নভেম্বর। আর ২১ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের এনসাইন ইয়ুথ ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ৬ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যারিস্টার মো: আবুল কালাম, নির্বাচন কমিশনার ব্যারিস্টার মো: লুৎফুর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহজাহান ।
নির্বাচন কমিশনারগন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন নি¤œলিখিত নীতিমালা অনুসরণ করতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধি ও ট্রাষ্টিদের প্রতি অনুরোধ জানান।
সম্মানীত ট্রাস্টিবৃন্দ উক্ত নীতিমাল মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।
বৈধ পরিচয় পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারকে ব্যালট পেপার প্রদান করা হবে।
নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে কমিশন বরাবরে লিখিত আবেদন করতে হবে, একই প্রতীকের জন্য একাধিক প্রার্থী আবেদন করলে লটারীর মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্ধ দেয়া হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন যে কোন ভোটারের পরিচয় পত্র ঠিকানা যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনে ভোট প্রয়োগ েেক বিরত রাখতে পারবেন।
পরিচয়পত্র হিসাবে প্রত্যেক ট্রাস্টিকে অবশ্যই পাসপোর্ট, ফটোসহ ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ত আইডি কার্ড এবং সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ফ্রিডম পাস প্রযোজ্য হবে। এবং যে সকল ট্রাস্টির পাসপোর্ট হোম অফিসে জমা এবং হোমঅফিসের বিবেচনাধীন, তারা অবশ্যই হোমঅফিস কর্তৃক প্রদত্ত ফটোসহ আই.এস.৯৬ ডকুমেন্ট সহ যে কোন একটি ঠিকানা সম্বলিত আইডি দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
কোন প্রার্থী, এজেন্ট বা দলীয় সাপোর্টার বর্ণিত তফশীলের বাহিরে নিজস্ব কোন মতামত প্রদান বা প্রয়োগ করতে পারবেন না। নির্বাচনী কেন্দ্রের ভিতরে বা বাহিরে নির্বাচনী প্রচারনা বা প্ররোচনা প্রদান করিতে পারিবেন না। জাল ভোট প্রদান বা প্ররোচিত করা নির্বাচনী তফশীল মোতাবেক অপরাধ হিসাবে গন্য করা হবে। এমন অপরাধী বা কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে কেন্দ্রে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যেতে পারে।
ভোট গণনার সময় শুধুমাত্র প্রার্থীর এজেন্ট ও প্যানেল প্রধান উপস্থিত থাকতে পারবেন। প্রত্যেক প্রার্থীর একটি করে ভোট গণনা করা হবে।
মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর প্রত্যেক প্যানেল থেকে একজন করে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধির নাম নির্বাচন কমিশন বরাবরে দাখিল করতে হবে। যদি কোন বিষয় নির্বাচন কমিশনকে অবগত করতে হয় অথবা যদি কোন প্রস্তাব থাকে তাহলে সমন্বয়ক কর্তৃক লিখিত ভাবে প্রদান করতে হবে।
ট্রাস্টিবৃন্দের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধ পরিকর। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রার্থী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যে কোন কার্যকলাপের মাধ্যমে নির্বাচনী কাজে বাধা সৃষ্টি করলে তা নির্বাচনী আচরন বিধির পরিপন্থী বলে গণ্য হবে। আচরণ বিধি লংঘনকারী প্রার্থী বা তার সমর্থীত প্রার্থীকে কমিশন সতর্ক করতে পারবেন এমন কি তার প্রতিদ্বন্ধিতা বাতিল ঘোষণা করতে পারবেন।
কোন প্রার্থী মনোনয়োন পত্র প্রত্যাহার করতে চাইলে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত আবেদন করতে হবে।
ঐতিহ্যবাহী এই ট্রাস্টের সুন্দর, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন যে কোন বিষয়ে প্রয়োজনীয় যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।