অষ্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের সাথে যৌথ আলোচনায় বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথমবারের মতো শুক্রবার অষ্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের নেতৃবৃন্দের সাথে যৌথ আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন।
চীনের আগ্রাসী ভূমিকা মোকাবেলায় চার পক্ষীয় জোটকে জোরদার করাই তার এ আলোচনার লক্ষ্য। এছাড়া বাইডেন তার পূর্বসুরী ট্রাম্প প্রশাসনের বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষাপটে জোটদের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের যে অঙ্গীকার করেছেন এটি তারই পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও এটি ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন পাসাকি বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিপিক অঞ্চলে আমাদের অংশীদারদের সাথে নিবিড় সহযোগিতার গুরুত্ব বিবেচনায় বাইডেন আগে ভাগে বহুপক্ষীয় এ আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

চীনের আগ্রাসী ভূমিকা মোকাবেলায় ২০০৭ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তথাকথিত এই ‘কোয়াড’ বা চারপক্ষীয় জোট গঠনের উদ্যোগ নেন।

বাইডেন এ উদ্যোগকে গুরুত্বের সাথেই নিয়েছিন বলে জানিয়েছেন অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
চারপক্ষীয় এ আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মোকাবেলা গুরুত্ব পাবে পাসাকি ও ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এছাড়া নেতৃবৃন্দ অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।

এদিকে এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর কোয়াডের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে বৈঠকে তারা চীনের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।

বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত আর্টিকেলে ভারতের প্রতি কোয়াড ছাড়ার আ্বিান জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত বছর হিমালয় এলাকায় চীনের সামরিক বাহিনীর হামলায় ২০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর বেইজিং নিয়ে নয়াদিল্লীর মনোভাব আরো কঠোর আকার ধারণ করে।

এদিকে অষ্ট্রেলিয়ার সাথেও চীনের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় দেশটি কোয়াডে অংশ নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

উল্লেখ্য, পূর্বসুরীর পথ ধরেই বাইডেন চীনের প্রতি কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
সূত্র : বাসস

error: