এনএইচএসে ভারতীয় নার্স ও ডাক্তারদের আধিক্য

যুক্তরাজ্যে এনএইচএসের চাকুরীতে অধিবাসীদের প্রাধান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ৫ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন ব্রিটিশ নন এমন মানুষ কাজ করছেন বলে একটি গবেষণায় দেখা যায়।

স্বাস্থ্যসেবাতে কর্মরত ডাক্তারদের এক তৃতীয়াংশ যুক্তরাজ্যের নাগরিক নন। যা রেকর্ড অনুযায়ী এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ অনুপাত। পিএ নিউজ এজেন্সি  এনএইচএসের ডিজিটাল ডেটা বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে। এই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯ সালে বিদেশী নাগরিকের হার ছিল এনএইচএসে ১১.৯% যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩%। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এনএইচএস ইংল্যান্ডের সামগ্রিক বিদেশী নাগরিক কাজ করছেন এমন মানুষের সংখ্যা ২০.৪%।

পরিসংখ্যান অনুসারে, এনএইচএসের সর্বাধিক সাধারণ ভিনদেশী জাতীয়তার মাঝে ভারতীয়দের হার সবচেয়ে বেশি। ভারতের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা প্রায় ১০.১% এবং ডাক্তারদের সংখ্যা ৮%।

তথ্য হতে দেখা যায়, বর্তমানে এনএইচএসে থাকা ৩.৭% ডাক্তার পাকিস্তানের, ২.৯% মিশরের এবং ২% নাইজেরিয়া থেকে এসেছেন। নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের মধ্যে ফিলিপিনো ৭.৭%, নাইজেরিয়ানদের ২.৫% এবং আইরিশ ১.১%।

এনএইচএস নিয়োগকর্তাদের প্রধান নির্বাহী ড্যানি মর্টিমার বলেন, তথ্য ও সংখ্যা হতে বোঝা যায় এনএইচএস মেধাবী আন্তর্জাতিক কর্মীদের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক কর্মী ছাড়া এনএইচএস তার চাপ সামলাতে পারছে না।

তবে নফিল্ড ট্রাস্টের গবেষক লুসিনা রোলভিজ সতর্ক করে বলেন, ” যে ব্যবস্থায় এনএইচএস কার্যপরিচালনা করছে তা টেকসই ও  দীর্ঘমেয়াদী সমাধান থেকে অনেক দূরে।”

হেলথ চ্যারিটি দ্য কিং ফান্ডের সহকারী পরিচালক, অ্যালেক্স বেলিস উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে এনএইচএস ইংল্যান্ড জুড়ে প্রায় সোয়া ১ লাখের বেশি পোস্ট খালি আছে। এর মধ্যে নার্সিংয়ে ৪২,০০০ এবং মেডিসিনে ৯,০০০ জনের পদ শূন্য।

তিনি আরও যোগ করেছেন, ” যেহেতু পেশাদার প্রশিক্ষণে বেশ কয়েক বছর সময় নেয়, তাই এনএইচএস আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিদেশ থেকে নিয়োগের উপর নির্ভর করবে। ধীরে ধীরে শূন্যপদগুলি পূরণ করতে হবে তবে বর্তমান কর্মীদেরও ধরে রাখতে হবে।”

উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এনএইচএস নিজেদের সেবা ধরে রাখার জন্য কর্মীদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কম বেতন ও সুযোগ সুবিধার অভাবে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অনেকে যুক্তরাজ্য ছেড়ে অন্যদেশে স্থায়ী হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

error: