ধর্ষণ কে ‘সামরিক কৌশল’ হিসেবে চালাচ্ছে রাশিয়া

টেমসসুরমানিউজডেক্স:ইউক্রেনে রুশ সেনারা ‘সামরিক কৌশল’ হিসেবে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা প্যাটেন। সম্প্রতি জাতিসংঘের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়, যাতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে শতাধিক ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। প্রমীলা এই রিপোর্ট প্রসঙ্গে বলেন, সেখানে অনেক নারী বর্ণনা করেছেন যে, ধর্ষণের জন্য রুশ সেনারা ভায়াগ্রা গ্রহণ করতো। এতেই বুঝা যায়, এটি একটি সামরিক কৌশল।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘের এই প্রতিনিধি। এতে তিনি বলেন, অনেক শিশুকেও ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে যে পরিমাণ ধর্ষণের খবর আমরা পেয়েছি, বাস্তবে সে সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ, যৌন সহিংসতার ঘটনা খুব বেশি প্রকাশিত হয়না। তিনি আরও বলেন, শিশুদের ধর্ষণ করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। আমি গত ফেব্রুয়ারি থেকে বলে আসছি, এই অভিযোগগুলো নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রাশিয়ার অভিযানের পর থেকেই ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা মস্কোর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আনছে। তারা শিশুসহ ইউক্রেনীয় নারীদের ধর্ষণ করছে এবং যৌন নির্যাতনকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ কিয়েভের।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার কাটেরিনা পাভলিচেঙ্কো গত জুন মাসে বলেছিলেন, রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে অন্তত ৫০টি যৌন অপরাধের অভিযোগ এসেছে। সম্প্রতি রাশিয়ার হাত থেকে খারকিভ অঞ্চল দখল করে ইউক্রেন। সেখানে রুশ সেনাদের হাতে হওয়া যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করছে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। রাশিয়া প্রথম থেকেই এ ধরণের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

error: