বসুরহাটে আবার দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহিত ১

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে মঙ্গলবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১১ জন। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম আলাউদ্দিন (৩২)। তিনি উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের মমিনুল হকের ছেলে। স্থানীয় সূত্র বলছে, আলাউদ্দিনকে নিজের অনুসারী বলে দাবি করেছেন, মিজানুর রহমান। গুরুতর আহত জাকির হোসেন ওরফে হৃদয়সহ (২৫) উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকিরসহ তিনজনকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, মৃত অবস্থায় রাত ১১টার দিকে আলাউদ্দিনকে হাসপাতালে আনা হয়। এ ছাড়া রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ আরও ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীর বলছেন, বিকেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলার জের ধরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে উভয় পক্ষ বসুরহাটের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আবার মুখোমুখি হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের মুহুর্মুহু আওয়াজ পাওয়া যায়। এ সময় বসুরহাট জিরোপয়েন্ট ও পৌরসভা ভবন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের এই সংঘর্ষ চলে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বসুরহাট বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, দুই পক্ষের ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে গোটা বসুরহাট শহর প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আলা উদ্দিন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বসুরহাট বাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

error: