তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক কার্যকলাপ কমানোর আশ্বাস দিয়েছে মস্কো। দুদেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর এটি প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে শুরু হওয়া বৈঠকে বক্তব্য দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। এ সময় তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে তার গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। এরদোয়ান বলেন, এই আলোচনার অগ্রগতি দুই নেতার সাক্ষাতের সুযোগ তৈরি করবে। আর সেই আলোচনা আয়োজনের জন্যও তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে ।
বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেকসি রেজনিকোভ এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের প্রধান মিখাইল পোডোলিয়াক।
বৈঠকের পর রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্সান্ডার ফোমিন বলেছেন, আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাশিয়া কিয়েভ এবং চেরনিহিভের কাছে লড়াইয়ের তীব্রতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন হামলা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার আন্তর্জাতিক নিশ্চয়তা পেলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউক্রেনের আলোচকরা বলেছেন, তারা এমন একটি অবস্থান বজায় রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন, যার আওতায় ইউক্রেন কোনও জোটে যোগ দেবে না কিংবা বিদেশি সেনা রাখার ঘাঁটিও হবে না।
তবে নেটোর ‘অনুচ্ছেদ ৫’ যৌথ প্রতিরক্ষা নীতির মতো ব্যবস্থার আওতায় ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকবে। এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যে কোনও একটি মিত্রদেশের ওপর আক্রমণকে সব মিত্রের ওপর হামলা হিসাবে বিবেচনা করা হয়।।