টেমসসুরমানিউজডেক্স: সিলেটের ওসমানীনগরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রবাসী রফিকুল ইসলামসহ পরিবারের ৩ সদস্য মৃত্যুর আড়াই মাস পর স্ত্রী হুসনে আরা বেগমও মারা গেলেন। বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বুধবার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তার ভাই গোলাম মোস্তফা ও ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাইন উদ্দিন।
গত ১২ জুলাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেন। ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে বড় ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসা শেষে ১৮ জুলাই তাজপুর স্কুল রোডস্থ ৪তলা বাসার দু’তলায় বাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। ২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নাম্বারে ফোন দেন রফিকুলের শ্যালক দিলওয়ার হোসেন।
দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ দরজা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় ৫ প্রবাসীকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী হুসনে আরা, বড় ছেলে সাদিককুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১১দিন সজ্ঞাহীন অবস্থায় লাইফসাপোর্টে থাকা সামিরাও মারা যায়।
৩ আগস্ট হুসনে আরা ও সাদিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও মা-ছেলে তাজপুরের ভাড়া বাসায় না গিয়ে উপজেলার বড় ধিরারাই গ্রামে নিজের পিত্রালয়ে যান। সেখানে কিছুদিন থাকার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিরা’র মা হুসনে আরা বেগমও চলে গেলেন না ফিরার দেশে।