বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করলো খেলাফত মজলিস। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে বেলা দুইটায় কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করে খেলাফত মজলিস। বৈঠকে প্রায় দুই শতাধিক সদস্য অংশ নেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতির প্রয়োজনে সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে খেলাফত মজলিস বিশ্বাসী। একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন হিসেবে দীর্ঘ তিন দশকের অধিক সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ, জাতি, ইসলাম এবং জনগণের পক্ষে ভূমিকা পালন করে আসছে। খেলাফত মজলিস মনে করে এ দেশের প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ লালন-পালন করার অধিকার আছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসে শুরার অধিবেশনে বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যা পরবর্তী সিদ্ধান্তের পূর্ব পর্যন্ত খেলাফত মজলিস জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
সে অনুযায়ী দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময় ধরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক জোট ইস্যু কেন্দ্রিক গঠিত হয়। জোট স্থায়ী বিষয় নয়। খেলাফত মজলিস ২০ দলীয় জোটে দীর্ঘ ২২ বছর যাবত আছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০ দলীয় জোটের দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই। ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে ২০ দলীয় জোটকে কার্যত রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর করা হয়। এমতাবস্তায় আদর্শিক, সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সক্রিয় স্বতন্ত্র, বৈশিষ্ট্য নিয়ে ময়দানে ভূমিকা রাখবে এবং এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মওদুদ উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, আহমেদ আলি, অধ্যাপক আব্দুল হালিম ছাড়াও দলটির যুগ্ম-মহাসচিব সহ-সাংগঠনিক সহ জেলার নেতারা।