২৬ দিন জেলখানায় কাটানোর পর মুক্তি পেলেন নায়িকা পরিমনি। বুধবার সকালটা পরীমনির কাছে একটু ভিন্ন স্বাদের। ঢালিউডের এই নায়িকা আজ সকালে কারামুক্ত হন।
পরীমনি মুক্তির খবর পেয়ে ভোর থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারের ফটকে উৎসুক মানুষজনের ব্যাপক ভীড় লেগে যায়। সেখানে পরীমনির ৬ আত্মীয়ও তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পরীমনি। কারা সুপার হালিমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মুক্ত বাতাস আর ঝিরঝির বৃষ্টি যেন নায়িকাকে স্বাগত জানাচ্ছিল। বহুদিন পর কারামুক্ত হয়ে হাত নেড়ে অপেক্ষমাণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান পরীমনি।
পরীমনির পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট। সাদা ওড়না মাথায় বাঁধা ছিল। চোখে কালো চশমা, মাস্কটাও ছিল সাদা রঙের। শুভ্রবসনা এই নায়িকার চোখে ছিল কালো সানগ্লাস। সাদা জিপ গাড়িতে উঠে হাস্যোজ্জ্বল পরীমনি সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন। এ সময় তার চোখেমুখে আনন্দ ফুটে ওঠে।
গাড়ির সানরুফ দিয়ে মাথা বের করে অপেক্ষমাণ সাংবাদিক ও ভক্তদের হাত নেড়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান পরীমনি।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।
তারও আগে গত ২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমনির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। পরে তার আইনজীবীরা এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এর পর জামিন শুনানির দিন এগিয়ে ৩১ আগস্ট ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার তার জামিন হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার হালিমা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার পরীমনির জামিন হলেও সঠিক সময়ে জামিনের কাগজ কারাগারে না পৌঁছানোয় তাকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। আজ সকালে তার জামিনের কাগজ যাচাই-বাছাই শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট বিকালে বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। মাদকের মামলায় তার ৫ আগস্ট চার দিনের, ১০ আগস্ট দুদিনের ও ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে কারাগারে কেটে যায় ২৬ দিন।