আবাসিক হোটেল থেকে পতিতা গ্রেফতার

সিলেট নগরীর বেশকিছু আবাসিক হোটেলে প্রায়শই সন্ধান মিলছে ‘মধুচক্রের’। এসব হোটেল যেন পরিণত হয়েছে ‘সীমিত পরিসরের পতিতালয়’। মানুষ থাকার জন্য এসব হোটেল চালু থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এসব হোটেলে চলে পতিতাবৃত্তি। দিনেরাতে এভাবে অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিকরা। মাঝেমধ্যে এসব হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিকতার সাথে জড়িতদের আটক করে পুলিশ। গেল এক সপ্তাহে নগরীর ৪টি আবাসিক হোটেল থেকে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার দায়ে ১৮  নারীপুরুষকে আটক করা হয়।কিন্তু এসব অভিযানের পরও থামছে না অবৈধ এ কার্যক্রম। যে হোটেলে পুলিশ অভিযান চালায় সেখানেই পাওয়া যাচ্ছে অসামাজিকতার সাথে জড়িত নারী-পুরুষদের।    

সর্বশেষ আজ বুধবার (২৬ মে) নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ।এসসময় অসামাজিকতার দায়ে ২ নারী ও ২ পুরুষকে আটক করা হয়। হোটেলের ৪র্থ তলার একটি কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর দুই দিন আগে অর্থাৎ সোমবারও সুরমা মার্কেটের বদরুল আবাসিক হোটেলে বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ওই হোটেল থেকে ৭ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।

এছাড়া গেল রোববার (২৩ মে) নগরীর কালীঘাটস্থ ‘বন্ধু রেস্ট হাউজ’ নামক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় ১ পুরুষ ও ২ নারীকে আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ।    

আর (২২ মে) রাত ১টার দিকে নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কদমতলি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা চত্বরস্থ মেঘনা আবাসিক হোটেলে আকস্মিক অভিযান চালায় থানার একদল পুলিশ। এসময় ওই হোটেলের ৩য় তলার ১১৯ নম্বর রুমের ভিতরে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন ২ যুবক ও ২ যুবতী। অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।  

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ সিলেটভিউকে জানান, পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

error: