টেমসসুরমানিউজডেক্স: দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এর আগে সিরিজ জেতা হয়নি। এটাই ছিল সুবর্ণ সুযোগ যা হাতছাড়া করতে চাইনি তামিম-লিটনরা। এই জন্যই হয়তো ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে সিরিজ জিতে ইতিহাসের পাতায় দেশের নাম লেখালো টাইগাররা। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টাইগার বোলিং তোপে ১৫৪ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে একরকম হেসে খেলেই ম্যাচ জিতে নিলো লাল সবুজের বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৫৪ রানে অলআউট করে দিয়ে ম্যাচকে যতটা সহজে পরিণত করেছিলেন, ব্যাটাররা সেই সহজ কাজটাতে আরও সহজ করে নিলেন। বিশেষ করে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অপর ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ১২৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত লিটন আউট হয়ে গেলেও সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে ৯ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে মাঠ ছাড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তিধর দেশের মাটিতে গিয়ে তাদেরই বিপক্ষে এই প্রথম সিরিজ জয়ের ইতিহাস রচনা করলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করে দুই ওপেনার। তবে বেশিক্ষণ এই জুটি টিকতে দেননি বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হন কুইন্টন ডি কক। এরপর কাইল ভেরেইনেকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। আউট হওয়ার পূর্বে ৯ রান করেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
নিজের দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালানকে আউট করেন তাসকিন। মালান ব্যাট হাতে তুলেন ৩৯ রান। আর সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ২ রান করেন বাভুমা।
এরপরও স্বাগতিকদের স্বস্তি দেয়নি টাইগাররা। রাসি ফন ডার ডুসেনকে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরিফুল ইসলাম। তাসকিন তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে। ২০ রান করে আউট হন এ অলরাউন্ডার।
সেঞ্চুরিয়নে আজ আগুন ঝরিয়েছেন তাসকিন। স্বাগতিকদের কাঁপিয়ে একে একে তুলে নিয়েছেন প্রোটিয়াদের পাঁচ উইকেট। ১৬ রান করা ডেভিড মিলারকেও আউট করেন তাসকিন। আর ৪ রান করা কাগিসো রাবাদাকে আউট করে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন এ পেসার। এর আগে ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তাসকিন।
শেষ দিকে কেশভ মহারাজ ২৮ রান করেন। তবুও ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিনের ফাইফার ছাড়াও দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, এছাড়া একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদি হাসান মিরাজ।
ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে টাইগাররা। এ নিয়ে টানা ৬ ম্যাচে একই একাদশ খেলছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার ওয়েইন পারনেলের বদলে আজ খেলছেন ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস।