বিএনপির সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে রহস্যের যেন শেষ নেই।যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালিক বলেছেন, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা যাননি, বরং ঢাকাতেই তার মৃত্যু এবং দাফন হয়েছে। ফলে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরীর ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর শুরু হওয়া আলোচনার সমাধান হচ্ছে না। হারিছ চৌধুরী তাহলে কোথায় ছিলেন এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য।
গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার ও এত এত বিএনপি নেতার চোখ এড়িয়ে হারিছ কীভাবে ঢাকায় অবস্থান করলেন সে প্রশ্নও উঠেছে।
এ বিষয়টি নিয়ে হারিছ চৌধুরীর চাচাত ভাই আশিক চৌধুরী আবারও কথা বলেছেন। নিজের সর্বশেষ বক্তব্যে তিনি জানালেন, হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু লন্ডনেই হয়েছে বলে তার ধারণা। বৃহস্পতিবার লন্ডন বাংলা ভয়েসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘যখন জানলাম হারিছ চৌধুরী মারা গেছে, আমি তখন আমেরিকায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আমি জানতে পারি, তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় তিনি অসুস্থ। দোয়া চাওয়া হয়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি (২০-২২ তারিখ) আমাকে জানানো হয়, তিনি মারা গেছেন। আমার ধারণা তিনি লন্ডনে তার পরিবারের কাছেই মারা গেছেন। ’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় তিনি কীভাবে মারা গেলেন- আমার জানা নেই। এত মামলা-মুকদ্দমার মধ্যে তিনি তো ঢাকায় থাকার কথা না। যুক্তিতে আনতে পারছি না। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে কেউ তো বলল না, তিনি ঢাকায় মারা গেছেন এবং দেশে তার জানাজায় অংশ নেওয়া-দাফন এসব বিষয়ে কেউ তো কিছু বলেনি। আমি না হয় আমেরিকায় ছিলাম। ’
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতির বক্তব্যের বিষয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘মালেক ভাই কী বলেছেন, আমি জানি না। তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। আমার ধারণা, হারিছ চৌধুরী লল্ডনে ছিলেন। লন্ডনেই অসুস্থ হন। লন্ডনেই চিকিৎসা হয় এবং লন্ডনেই মারা গেছেন। ’
তিনি তার চাচাত ভাইয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সকলের কাছে দোয়া চান।