ড: মার্সেলো রেবেলো পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত

যা অনুমেয় ছিল। পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিপুল ভোটে পুননির্বাচিত হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড: মার্সেল সোসা। তিনি প্রায় ৬১ ভাগ ভোট পেয়ে আবারো নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের সংখ্যা ২৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাশীন সোস্যালিস্ট পার্টি থেকে মনোনীত প্রার্থী আনা গোমেজ পেয়েছেন ১৩ ভাগ ভোট। তার ভোটের পরিমাণ পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৩৪৫ ভোট। আর তৃতীয় হয়েছেন কট্টরপন্হী আন্দ্রে ভেন্তুরা, তিনি পেয়েছেন প্রায় ১২ ভাগ ভোট, চার লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৩ ভোট।
এ দিকে সোমবার জরুরি অবস্থা ও লকডাউনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ দিন লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়। এ দিন বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন। তবে বেশিরভাগ বাংলাদেশীদের পছন্দ ছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্সেলো সোসা।

প্রবাসী বাংলাদেশী ভোটার সামসুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তাকে ভোট দিয়েছি, কারণ তিনি অভিবাসীবান্ধব প্রেসিডেন্ট, অভিবাসীদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক ও নমনীয়। তাছাড়া তার সহজ-সরল জীবন-যাপন আমাকে আকৃষ্ট করে।’
৭২ বছর বয়সী সাবেক সোস্যাল ডেমোক্রেট পার্টি প্রধান, ড: মার্সেলো সোসা তার সাধাসিধে জীবন-যাপন, উষ্ণ ব্যক্তিত্ব ও সমর্থকদের সাথে সেলফি তোলার কারণে বেশ জনপ্রিয়। গতবারের তুলনায় তিনি প্রায় ৯ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন। ২০১৬ সালে তিনি যখন নির্বাচিত হন, তখন পেয়েছিলেন ৫২ শতাংশ ভোট।

বিজয়ী হওয়ার পর তার প্রথম অভিব্যক্তিতে বলেন, ‘আমি হচ্ছি পর্তুগালের প্রত্যেকটি নাগরিকের প্রেসিডেন্ট। আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনার এ দুর্যোগ মোকাবেলা করা।’

তবে এবারের নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটারের অনুপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নিবন্ধিত প্রায় এক দশমিক এক মিলিয়ন ভোটার অন্যদেশে থাকায় ও বিপুল সংখ্যক জনগণ কোয়ারেন্টিনে থাকায় এই অনুপস্থিতির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়।

লিজবন স্কুলে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কোস্টা বলেন, ‘পর্তুগালে এই মুহূর্তে করোনার ভয়াবহতা আমরা বুঝি। কিন্তু জনগণের ভোটের অধিকার চর্চার জন্য আমাদেরকে এই নির্বাচন করতে হয়েছে। প্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের যে অধিকার, তা থেকে তো আমরা তাদেরকে বঞ্চিত করতে পারি না।

error: