সব অর্জনের পর সিটিতে নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিলেন গার্দিওলা

টেমসসুরমাডেক্স: ম্যানচেস্টার সিটি কোচ হিসেবে পেপ গার্দিওলার কি আর কিছু জেতা বাকি আছে? উত্তর হতে পারে এক শব্দে—‘না’। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া শীর্ষ প্রতিযোগিতা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন ৫ বার। একাধিকবার এফএ কাপ, লিগ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ডও। সিটিকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতিয়েছেন। এবার ইউরোপে তাকানো যাক। উয়েফা সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি অধরা হয়ে ছিল যে চ্যাম্পিয়নস লিগ, সেটাও জিতিয়েছেন এ বছরের জুনে। বাকি ছিল একটি বৈশ্বিক শিরোপা—ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। তা–ও বাদ রইল না!গতকাল রাতে ফ্লুমিনেন্সকে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সিটিকে বৈশ্বিক শিরোপাটিও এনে দিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। ২০১৬ সালে সিটির কোচ হয়ে আসার পর প্রায় এই আট বছরে পাওয়া সাফল্যে গার্দিওলা তাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই পারেন। ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে গার্দিওলার কথায় সেটিরই প্রকাশ। তবে সেসব কথার ভেতরে অন্তর্নিহিত বার্তা খুঁজতে গিয়ে সিটির সমর্থকদের মনে একটি প্রশ্নও জাগতে পারে—গার্দিওলা কি তবে সিটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? সেটারও উত্তর সম্ভবত—‘না’।

আগেই ভ্রুকুটি না করে গার্দিওলার পুরো বক্তব্যটা আগে শোনা যাক। সিটির এই কোচ বলেছেন, ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে এই ক্লাবে তিনি ‘একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেন’। সিটিতে গার্দিওলার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে এখনো ১৮ মাস বাকি। কিন্তু ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পর সিটি কোচ বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি এবং এটা বলতে চাই যে একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলাম। আমরা সব শিরোপাই জিতেছি, আর কিছু জেতার বাকি নেই। তাই মনে হচ্ছে, কাজ শেষ হয়েছে।’

এটুকু পড়ে মনে হতেই পারে, বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ মাতানো এই কোচের মনে এবার বুঝি সিটি ছাড়ার ইচ্ছা খেলা করছে। কিন্তু ভুল ভাঙবে তাঁর পরের কথায়, ‘এখন সামনে বড়দিন। আমরা এখন আরেকটি বই কিনে নতুন করে লেখা শুরু করব। গত আট বছরের কাজ তো শেষ হয়েছে।’

গার্দিওলা যে ‘বই’ কেনার কথা বলেছেন, সেটিতে অবশ্যই সিটিতে তাঁর আগামী দিনগুলোর ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থাৎ এখনই প্রস্থানের কথা ভাবছেন না। সিটি কোচ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপ ছিল তাঁর ১৪তম বড় শিরোপা। আর এ বছর ক্লাবটিকে জিতিয়েছেন পাঁচটি শিরোপা। ২০২২ সালের নভেম্বরে সিটির সঙ্গে করা দুই বছরের চুক্তি অনুযায়ী এই ক্লাবে তাঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালে।

৫২ বছর বয়সী এই কোচ একটু পেছন ফিরে তাকালেন, ‘এই অধ্যায়ের ইতি টানার পেছনে রয়েছে আট বছরের অবিশ্বাস্য শ্রম। আমি মনে করি যা যা জেতা সম্ভব, সবই জিতেছি। যা আমরা করেছি, সেটা আসলেই অবিশ্বাস্য। এখন আমরা নতুন একটি বই কিনে তাতে সুন্দর সব ইতিহাস লেখার চেষ্টা করব।’

error: